একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত রোডম্যাপের ওপর নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপ চলছে।
Advertisement
সোমবার বেলা ১১টার পর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে এ সংলাপ শুরু হয়েছে।
সংলাপে ৫৯ জন প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও অংশ নিয়েছেন মাত্র ৩০ জন।
বেলা দেড়টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সংলাপ শেষ করে বের হয়েছেন প্রতিনিধিদের অন্তত সাতজন। তারা প্রায় প্রত্যেকেই সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সেনা মোতায়েনের ওপর জোর দিয়েছেন। একই সঙ্গে ‘না’ ভোটের কথাও বলেছেন তারা।
Advertisement
গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য সংলাপ শেষে বেরিয়ে এসে বলেন, ইসির প্রথম কাজ আস্থা অর্জন। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সেনা মোতায়েন করতে হবে। ‘না’ ভোটের বিধানও রাখতে হবে।
তিনি সংলাপে একটি বিশেষ আইনের প্রস্তাব করেছেন বলে জানালেও ওই আইনের বিষয়ে সাংবাদিকদের কিছু বলেননি।
সংলাপে অংশ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ও বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. আসিফ নজরুল বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি শক্তভাবে পালন করতে হবে। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত ও ভোটের কাউন্টিং ঠিকভাবে করতে হবে। এছাড়া নির্বাচনে সেনা মোতায়েন ও ‘না’ ভোটের কথাও বলেছেন তিনি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, সেনা মোতায়েনের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেনা মোতায়েন ‘দৃশ্যমান’ করতে হবে। নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। ইসি একতরফাভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না।
Advertisement
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হাফিজ উদ্দিন সেনাবাহিনীকে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েনের কথা বলেছেন। একই সঙ্গে ‘না’ ভোটের কথাও বলেন তিনি।
এমএম/এনএফ/এমএমজেড/জেআইএম