সিটি ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালক হোসেন খালেদ প্রতিষ্ঠানটির এক লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা দিয়েছেন। রোববার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
Advertisement
ডিএসই জানিয়েছে, হোসেন খালেদ আগামী ৩০ কার্যাদিবসের মধ্যে সিটি ব্যাংকের এক লাখ শেয়ার কিনবেন। বিদ্যমান বাজার দরে পাবলিক অথবা ব্লক মার্কেট থেকে তিনি এ শেয়ার কিনবেন।
এদিকে, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের এ কোম্পানির সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) সিটি ব্যাংক ব্যবসা পরিচালনা করে যে পরিমাণ আয় করছে, ব্যয় করেছে এর থেকে বেশি। অতিরিক্ত অর্থব্যয়ের কারণে প্রতিষ্ঠানটির নিট অপারেটিং ক্যাশ-ফ্লো বা পরিচালন নগদ প্রবাহ ঋণাত্মক হয়ে পড়েছে।
চলতি বছরের জানুয়ারি-জুন সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট পরিচালন নগদ প্রবাহ (এনওসিপিএস) দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ১০ টাকা ৯৮ পয়সা। অর্থাৎ প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে এ ব্যাংক আয়ের তুলনায় ১০ টাকা ৯৮ পয়সা অতিরিক্ত ব্যয় করেছে।
Advertisement
তবে আগের বছর ২০১৬ সালের প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট পরিচালন নগত প্রবাহ ধনাত্মক ছিল। ২০১৬ সালের জানুয়ারি-জুন সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট পরিচালন নগদ প্রবাহ ছিল ৮২ পয়সা।
পরিচালন নগদ প্রবাহ ঋণাত্মক হয়ে পড়ার পাশাপাশি চলতি বছরের প্রথমার্ধে সিটি ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস)-ও কমে গেছে। জানুয়ারি-জুন সময়ে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে দুই টাকা ১৮ পয়সা। যা ২০১৬ সালের একইসময়ে ছিল দুই টাকা ৩০ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় চলতি বছরের প্রথমার্ধে সিটি ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ১২ পয়সা।
তবে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) প্রতিষ্ঠানটির শেয়রপ্রতি আয় আগের বছরের সমান হয়েছে। চলতি বছরের এপ্রিল-জুন সময়ে সিটি ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে এক টাকা ৫১ পয়সা। যা আগের বছরের একই সময়েছিল এক টাকা ৫১ পয়সায়।
নিট পরিচালন নগদ প্রবাহ এবং শেয়ারপ্রতি আয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়লেও চলতি বছরে সিটি ব্যাংকের নিট সম্পদ মূল্য বেড়েছে। চলতি বছরের ৩০ জুন শেষে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদের মূল্য দাঁড়িয়েছে ৩২ টাকা ৮৬ পয়সা। যা ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষে ছিল ২৭ টাকা ৯৮ পয়সা।
Advertisement
এমএএস/এমএআর/পিআর