জাতীয়

ভূমি সংক্রান্ত দুর্নীতি বন্ধে ডিসিদের কঠোর নির্দেশ

মাঠ পর্যায়ে ভূমি সংক্রান্ত দুর্নীতি বন্ধে জেলা প্রশাসকদের কঠোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় ও শেষদিনের প্রথম কার্য-অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

Advertisement

ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘যারা ঘুষ নেয় তারা তো অন্যায় করেই৷ যারা ঘুষ দেয় তারাও। অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তব ঘৃণা তারে যেন তৃণসম দহে, এটা কবিই বলেছেন৷ এটা আমাদের ধর্মেও আছে -অন্যায়কারীকে সহযোগীতা করো না।’

‘ঘুষ না দিলে তো সেবা পাওয়া যায় না’ সাংবাদিকদের এমন কথায় মন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি, একজন মানুষ যখন নকশার জন্য অফিসে যায়, নকশাটা পায় না। একদিন, দুইদিন, তিনদিন ঘুরে, দরিদ্র মানুষভাবে তিনদিনে আমার পনেশ’ টাকা মজুরি লস হয়ে গেল। সে তখন পয়সা বের করে দালালের হাতে দেয় কাজ করার জন্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘পরে হয়তো দেখা যায় কোনো নকশাই নেই৷ এ জন্য আমরা সবকিছু ডিজিটালাইজেশন করছি৷ এটা করা হলে কোনো ঘুষ দুর্নীতি থাকবে না৷ দুর্নীতি এখন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ভূমি সংক্রান্ত ঘুষ-দুর্নীতির বন্ধে ডিসিদের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’

Advertisement

কী নির্দেশনা দেয়া হয়েছে -সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘একেবারে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারা যে সমস্যাগুলো নিয়ে এসেছেন, সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী গত পরশু নিশ্চয়ই কিছু বলেছেন।’

সরকার যে আধুনিক ভূমি ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করেছে তা সঠিকভাবে বাস্তবায়নে ডিসিদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘এটা বাস্তবায়নে যাতে কোনো অনিয়ম না হয় সে নির্দেশও দিয়েছি৷ এই অাধুনিক ব্যস্থাপনা বাস্তবায়ন হলে ঘুষ দুর্নীতি থাকবে না৷’

ভূমিমন্ত্রী জানান, ৬০/৬২ সালের দিকে ঢাকা শহরের হাজার হাজার একর জমি সরকার অধিগ্রহণ করেছিল৷ এই সব জমিতে বিমানবন্দরসহ অনেক স্থাপনা তৈরি হয়েছে৷ বারশ’ একরের বেশি জমি সরকারেরর কাজে লাগেনি। এসব জমি মালিকদের ফিরিয়ে দিতে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷সেটা গেজেট নোটিফিকেশনের জন্য পাঠানো হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের সভাপতিত্বে এর আগে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

Advertisement

এমএআর/আরএস/পিআর