পাবলিক প্লেসে কথিত প্র্যাঙ্কের নামে জনগণের সঙ্গে কৌতুক করা এবং সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়া বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
Advertisement
আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান ও সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক এবং ডিএমপি কমিশনারকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এ আদেশ দেন বলে জানান আবেদনকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার নূর মুহাম্মদ আজমী (মিল্লাত) ও ব্যারিস্টার মিজান-উর রশীদ। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন ও শিকদার মাহমুদুর রাজী।
আইনজীবী নূর মুহাম্মদ আজমী বলেন, ‘শুনানি শেষে হাইকোর্ট রাস্তাঘাটে হয়রানিমূলক প্র্যাঙ্ক বন্ধে সরকারকে কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না, সেই মর্মে রুলনিশি জারি করেন।’
Advertisement
সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে প্র্যাঙ্ক নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। যেখানে বলা হয়, চন্দ্রিমা উদ্যানে বসা একটি মেয়েকে একটি ছেলে এসে বলল, আপু আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাই। মেয়েটি হ্যাঁ-সূচক জবাব দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ছেলেটি পেছন থেকে একটি সাপ বের করে তার সামনে ধরে। তখন মেয়েটি সত্যিই সাপ মনে করে ভয়ে দৌড় দেন। দৌড়াতে গিয়ে ইটের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে রাস্তার ওপর পড়েও যান এবং প্রচণ্ড ব্যথা পান।
এ বিষয়ে মেয়েটি বলেন, ‘এ সময় আমার এমন দৌড় দেখে চারদিকের মানুষগুলো অনেক জোরে জোরে হাসছিল। এক পর্যায়ে ওই ছেলেসহ আরও কয়েকজন এসে মেয়েটিকে বলল, আপু আমরা প্র্যাঙ্ক (কৌতুক) করেছি।’
আইনজীবী নূর মুহাম্মদ আজমী বলেন, ‘এটা পাবলিক প্লেসে রীতিমতো হেনস্থা। গোপনে এটা ভিডিও করে ইউটিউবে আপলোড করে অর্থ আয় করা যায়। এটা বেশিরভাগ শপিং মল বা পার্কে করে।’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইউটিউবে এরকম অসংখ্য ভিডিও আছে। যেমন নিরিবিলি পার্কে রাস্তার পাশে সন্ধ্যার পর হঠাৎ করে মুখোশ পরে গাছের আড়াল থেকে হাজির হওয়া। অথবা হঠাৎ করে কোনো মেয়েকে কোনো একটি ছেলে গিয়ে বলছে, ‘আপনাকে চুমু খেতে চাই। আপনি কি রাজি?’ এসব আচরণে নাগরিকরা হেনস্থার শিকার হন।
Advertisement
এফএইচ/বিএ