জাতীয়

এএসপি মিজানুরকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ছিনতাইকারীরা

সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মিজানুর রহমানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ছিনতাইকারীরা।

Advertisement

রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম।

মো. শাহ আলম ওরফে আলম ওরফে বুড্ডা নামে এক ছিননতাইকারীকে গ্রেফতারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য পেয়েছে পুলিশ।

গত ২১ জুন রাজধানীর রূপনগর বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে হাইওয়ে পুলিশের এএসপি মিজানুর রহমানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শনিবার রাতে গাজীপুরের টঙ্গী থেকে মো. শাহ আলম ওরফে আলম ওরফে বুড্ডা নামে এক ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

Advertisement

সংবাদ সম্মেলনে সিটিটিসি প্রধান বলেন, আমাদের আগের প্রাপ্ত তথ্য ও শাহ আলমকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য মিলে যায়। তাতে জানা যায়, ঈদের আগে রাস্তায় গাড়ির চাপ থাকায় হাইওয়ে পুলিশের এএসপি মিজান তার কর্মস্থল সাভারের উদ্দেশে ভোরে রওনা হন। একই সময় শাহ আলম সহযোগী মিন্টু, কামাল ও ফারুককে নিয়ে ফজরের আযানের পর ৩ নম্বর সেক্টরের মসজিদের পাশে ছিল। এসময় এএসপি মিজানুর রহমান তাদের সামনে আসলে তারা তাকে যাত্রী সেজে ডেকে তাদের প্রাইভেটকারে উঠায়।

শাহ্ আলমের জবানবন্দির বরাত দিয়ে মনিরুল ইসলাম জানান, এএসপি মিজানুর রহমানকে গাড়িতে উঠানোর পরই ড্রাইভার জাকির খুব জোরে গাড়িতে গান বাজিয়ে লাইট বন্ধ করে দ্রুত গাড়ি চালিয়ে জসীম উদ্দিন রোড হয়ে প্রথমে হাউজ বিল্ডিং, পরে উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের দিকে যায়। তখন গাড়ির পেছনের সিটে বসা মিন্টু মিজান সাহেবের মাথায় লাঠি দিয়ে জোরে আঘাত করে। তাদের মধ্যে একজন এএসপি মিজানকে প্রাইভেটকারে থাকা ঝুট কাপড়ের টুকরা দিয়ে গলায় প্যাঁচ দিয়ে ধরে। কিছুক্ষণ পর কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে টহল পুলিশের ভয়ে প্রধান রোড ব্যবহার না করে ১০ নম্বর সেক্টর থেকে গলি পথ ধরে বেড়িবাঁধ এলাকায় পৌঁছে। বিরুলিয়া ব্রিজের আগেই রাস্তার বাম পাশে ঘন গাছপালা দেখে জাকির গাড়ি থামায়। মিন্টু, কামাল ও ফারুক দ্রুত এএসপি মিজানকে মৃত অবস্থায় গাড়ি থেকে নামিয়ে রাস্তার বাম পাশে রেখে চলে যায়।

মনিরুল ইসলাম আরও জানান, ওই গাড়িতে চারজন  ছিনতাইকারী ছিল।  বাকি তিনজনকে গ্রেফতার ও ছিনতায়ে ব্যবহৃত গাড়িটি উদ্ধারে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

এআর/জেডএ/আরআইপি

Advertisement