২০১৭ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় দেশের অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাজউক উত্তরা মডেল কলেজে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে।
Advertisement
এবার কলেজটিতে পাসের হার ৯৯ দশমিক ৪২ শতাংশ। তবে জিপিএ-৫ পেয়েছেন মাত্র ৫৭ শতাংশ। গত বছর এ কলেজ থেকে ৭৪ দশমিক ১৭ শতাংশ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন।
তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছে, দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে জিপিএ-৫ কমে যাওয়া অপ্রত্যাশিত। জাতীয়ভাবে এবার জিপিএ- কমেছে, এখানেও কমেছে।
রোববার দুপুর পৌনে ২টার দিকে পরীক্ষার ফলাফল কলেজের নোটিশ বোর্ডে টাঙিয়ে দেয়া হয়। এ সময় কলেজে ফলাফল নিতে আসা শিক্ষার্থীদের উল্লাস ও স্লোগানে মেতে ওঠেন।
Advertisement
এ সময় জিপিএ-৫ অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের চোখে-মুখে ছিল আনন্দচ্ছটা। একে-অপরের সঙ্গে কোলাকুলি ও বাদ্যের তালে নৃত্য করেন শিক্ষার্থীরা। কেউ কেউ বাবা-মায়ের বুকে মাথা গুঁজে আনন্দাশ্রু বিসর্জন করেন। কাউকে আবার মোবাইল ফোনে স্বজনদের সুখবর জানাতে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়।
এ বছর রাজউক কলেজ থেকে মোট ১৩৭০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৭৮৯ শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ৮৭৫ জনের মধ্যে ৭২০ জন, ব্যবসায় শাখায় ৩৮৪ জনের মধ্যে ৪৭ জন এবং মানবিক বিভাগ থেকে ১১১ জনের মধ্যে ২২ জন জিপিএ-৫ পান।
প্রতিষ্ঠানটি থেকে গত বছর মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৩৫১ জন। ২ পরীক্ষার্থী প্রথম পরীক্ষার পর আর পরীক্ষা দিতে যায়নি। বাকি ১ হাজার ৩৪৯ জনের সবাই পাস করেছে। কলেজটি থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ২ জন।
কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আমিনুর রহমান খান বলেন, ফলাফল আমাদের অপ্রত্যাশিত। জিপিএ-৫ কম এসেছে এবার। এমনটা হবে ভাবিনি। দেশের প্রায় প্রতিষ্ঠানেই রেজাল্টে গড় ও জিপিএ-৫ কমেছে। পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের কারণে এমনটি হতে পারে। তাছাড়া এবার বাংলায় পরীক্ষার প্রশ্নে একটু সমস্যা হয়েছে।
Advertisement
আগামীতে জিপিএ-৫ অর্জনে শিক্ষার্থীদের আরও বেশি নিবিড় পরিচর্যার কথা জানান তিনি।
তিনি জানান, কঠোর অধ্যয়ন, নিয়মানুবর্তিতা, শিক্ষকদের নিরলস পরিশ্রম, শিক্ষার্থীদের মনোযোগ সর্বোপরি অভিভাবকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা ছাড়া ভাল রেজাল্ট করা সম্ভব নয়।
এরআগে ২০১১, ২০১২, ২০১৩ ও ২০১৪ সালে টানা ৪ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় দেশের শীর্ষস্থান অর্জন করেছিল রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ।
জেইউ/এসআর/এমএস