জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলি নিরাপত্তাবাহিনীর ব্যাপক নিপীড়ন ও তিন ফিলিস্তিনি নিহতের ঘটনায় নিন্দা ও গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুটেরাস। আল-আকসায় ইসরায়েলি বিধি-নিষেধের কারণে গত কয়েকদিন ধরে প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে জেরুজালেম। এই উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে গাজা উপত্যকায়ও।
Advertisement
শনিবার সকালের দিকে জাতিসংঘ মহাসচিব ফিলিস্তিনিদের হত্যার নিন্দা জানিয়ে ঘটনা তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। পবিত্র ভূমি জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদের প্রবেশপথে ইসরায়েলের মেটাল ডিটেক্টর বসানোর প্রতিবাদে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি প্রতিবাদে নেমেছে। আল-আকসার এই প্রতিবাদ প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে।
জেরুজালেমের ওল্ড সিটিতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি আরও বাড়িয়ে দিতে পারে; এমন পদক্ষেপ নেয়া থেকে বিরত থাকতে ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনি নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। অ্যান্টনিও গুটেরাস বলেন, ‘ধর্মীয় স্থাপনায় সহিংসতা হওয়া উচিত নয়।’
গুটেরাসের বরাত দিয়ে জাতিসংঘের ডেপুটি মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, ‘স্বাভাবিক নিরাপত্তার বিষয়টি জাতিসংঘ বুঝতে পারে, তবে ওই স্থানে স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখাও গুরুত্বপূর্ণ।’
Advertisement
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা বলছে, ‘শুক্রবার ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের উপর হামলা চালায়। এসময় আল-আকসা মসজিদে প্রবেশে ইসরায়েলি নতুন বিধি-নিষেধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ইসরায়েলি বাহিনী গোলাবারুদ, টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।’
জেরুজালেমের পবিত্র এই মসজিদে ৫০ বছরের নিচের কোনো ফিলিস্তিনি প্রবেশ করতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয় ইসরায়েল। একই সঙ্গে মসজিদের প্রবেশপথে দেহ তল্লাশির জন্য মেটাল ডিটেক্টর বসানো হয়। মসজিদে প্রবেশে ইসরায়েলের এই কড়াকড়ি আরোপের বিরুদ্ধে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি তরুণ, নারী, পুরুষ বিক্ষোভের ডাক দেয়। বিক্ষোভে উত্তাল জেরুজালেমে অন্তত তিন ফিলিস্তিনি নিহত ও আহত হয়েছেন আরো শতাধিক মানুষ।
জেরুজালেমে এই কড়াকড়ির সূত্রপাত হয় গত ১৪ জুলাই। ওই দিন তিন ফিলিস্তিনি নাগরিকের হামলায় ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্যের প্রাণহানির জেরে কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করে ইসরায়েল। পরে ওই তিন ফিলিস্তিনি নাগরিকও নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মারা যায়।
এসআইএস/জেআইএম
Advertisement