চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের নতুন কমিটির প্রক্রিয়া শুরুর আভাস দিলেন কেন্দ্র থেকে পর্যবেক্ষণে আসা দুই নেতা। একই পরামর্শ ও দাবি জানিয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন ও দলীয় নেতাকর্মীরা।
Advertisement
ইতোমধ্যে স্থগিত বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ (বৃহস্পতিবার)। তবে এ প্রক্রিয়া কীভাবে হবে তা কেন্দ্রকে সার্বিক বিষয় অবহিত করার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
বুধবার ক্যাম্পাসে নেতাকর্মী ও প্রশাসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে চবি সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে আসেন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও চবির সাংগঠনিক তত্ত্বাবধায়ক মশিউর রহমান শরীফ ও উপ-ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ হোসাইন।
এ সময় কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মশিউর রহমান শরীফ বলেন, আগামীর রাজনীতি নির্বাচনমুখী। অছাত্ররা কেউ নতুন কমিটিতে আসবে না। পাশাপাশি খারাপ ইমেজের যারা আছে, তাদের সরিয়ে ভালো ইমেজের নেতৃত্ব আনব। এক্ষেত্রে ইতিবাচক কার্যক্রমকে প্রাধান্য দেয়া হবে। সবাই একটি রাজনৈতিক পরিচয় পাবে।
Advertisement
হলভিত্তিক রাজনীতি শুরু করার বিষয় উল্লেখ করে এ কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, চবিতে আগামীতে হলভিত্তিক রাজনীতির চর্চা শুরু হবে। এছাড়া হল ও অনুষদে কমিটি দেয়া এবং উপ-গ্রুপ নিরসনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মিলে একটি ওয়ার্কিং কমিটি কাজ করবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও হলকেন্দ্রিক রাজনীতি পরিচালনার করার পরামর্শ দিয়েছেন- যুক্ত করেন মশিউর রহমান শরীফ।
মতবিনিময় সভায় কেন্দ্রীয় উপ-ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হোসাইনও বলেন, হলকেন্দ্রিক রাজনীতি চালু করতে প্রতি হলে সদস্য সংগ্রহ অভিযান ও নিয়মিত পাঠচক্র কার্যক্রম চলবে। যাতে প্রত্যেক শিক্ষার্থী বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আদর্শিত হতে পারে।
এর আগে মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণে কেন্দ্র থেকে চট্টগ্রামে আসেন এ দুই কেন্দ্রীয় নেতা। এ সময় তারা বর্তমান মেয়র ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে দেখা করেন।
এদিকে নতুন কমিটির বিষয়ে চবি ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক আবু তোরাব পরশ জাগো নিউজকে বলেন, ‘চবি ছাত্রলীগকে সাংগঠনিকভাবে গতিশীল করতে ও আগামী নির্বাচনে নৌকাকে জয়ী করে আনতে প্রতিটি কর্মীর রাজনীতিক পরিচয় সুনিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে আমরা নতুন কমিটির পক্ষে কাজ করছি।’
Advertisement
প্রসঙ্গত, গত ৪ মে দলীয় সংঘর্ষের জেরে রাতে চবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থগিত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি একই কারণে কমিটি স্থগিত করে কেন্দ্র।
আবদুল্লাহ রাকীব/বিএ