প্রকাশিত হয়েছে কবি ও কালের ধ্বনি সম্পাদক ইমরান মাহফুজের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণাগ্রন্থ ‘লালব্রিজ গণহত্যা’। বইটিতে রয়েছে একাত্তরের ঘাতকদের একটি জল্লাদখানা ও বধ্যভূমি আবিষ্কারের চাঞ্চল্যকর তথ্য। যা ৪৫ বছরেও ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই পায়নি। বলা যায়, মুক্তিযুদ্ধের এক অজানা অধ্যায়। লালব্রিজ চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার রেলব্রিজ সংলগ্ন একটি স্থান।
Advertisement
যুদ্ধকালীন সময়ে পাক ঘাতকরা ট্রেন থামিয়ে স্বাধীনতাকামী প্রায় ২ হাজার নারী-পুরুষকে হত্যা করে রেলব্রিজের পাশে ওয়াপদা ভবনের বাউন্ডারির মধ্যে ও পার্শ্ববর্তী দুটি বধ্যভূমিতে পুঁতে রাখে। গণহত্যার প্রত্যক্ষদর্শী আবুল হোসেনের ভাষ্যমতে, তার জমিতেই প্রায় এক হাজার নারী-পুরুষকে খানসেনারা হত্যা করে পুঁতে রাখে। ১৯৭১ এর জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে রেলব্রিজের কাছের ওই বধ্যভূমি খনন করে ৪শ’ মানুষের মাথার খুলি ও হাড়গোড়ের ছবি তুলে রাখা হয়েছিল। তবে ওখানে আরও প্রায় এক-দেড় হাজার দেহাবশেষ রয়েছে।
গ্রন্থটিতে নিমর্ম হত্যাকাণ্ডের সব বিষয় উঠে এসেছে। বইটি প্রকাশ করেছে ‘১৯৭১ : গণহত্যা ও নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্ট’। প্রচ্ছদ করেছেন তারিক সুজাত। সংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প হিসেবে আর্কাইভ ও জাদুঘরের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের গ্রন্থমালা সম্পাদক মুনতাসির মামুন। সহযোগী মামুন সিদ্দিকী।
এর আগে ইমরান মাহফুজ সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিক আবুল মনসুর আহমদ, কবি ও গবেষক আবদুল কাদিরকে নিয়ে কাজ করেছেন। বর্তমানে কাজ করছেন পল্লীকবি জসীম উদদীনকে নিয়ে। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘দীর্ঘস্থায়ী শোকসভা’। এছাড়া ‘আবুল মনসুর আহমদ স্মারকগ্রন্থ’, ‘জীবনশিল্পী আবুল মনসুর আহমদ’, ‘মুক্তিযুদ্ধ : অজানা অধ্যায়’, ‘কষ্টের ফেরিওয়ালা : হেলাল হাফিজ’, ‘দ্য ইক্যুয়েশন অব লাইফ’সহ ৭টি বই প্রকাশিত হয়েছে।
Advertisement
এসইউ/জেআইএম