আন্তর্জাতিক

মধ্যপ্রাচ্য সংকট : দৌড়ঝাঁপে ব্যস্ত টিলারসন আবারও কাতারে

কাতারের সঙ্গে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের চলমান সংকট নিরসনে চারদিনের সফরে দ্বিতীয়বারের মতো দোহায় পৌঁছেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। বুধবার রিয়াদে সৌদি বাদশাহ ও সৌদি জোটের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক হলেও কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি। পরে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় অপ্রত্যাশিতভাবে দ্বিতীয়বার কাতারে যেতে হয় মার্কিন এই পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে।

Advertisement

কাতার সংকট নিয়ে মিসর, সৌদি আরব, বাহরাইন ও সৌদি আরবের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার একদিন পর কাতারে যান তিনি। কুয়েত শহর থেকে আল জাজিরা প্রতিনিধি রোসিল্যান্ড জর্দান বলেন, সৌদি জোটের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে আলাপের পর ফলাফলের আশা করছেন টিলারসন।

তিনি আরও বলেন, কাতারি নেতৃত্ব এবং সৌদি জোটের মধ্যে সমঝোতার জন্য বড় ধরনের সুযোগ রয়েছে টিলারসনের হাতে। এজন্য মঙ্গলবার সর্বপ্রথম দোহা সফর করেন তিনি। প্রথমবার কাতারে এসে তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, সংকটের ব্যাপারে কাতারি সরকারের যুক্তিসঙ্গত মতামত রয়েছে।

দ্বিতীয়বার কাতারে এসে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি। উপসাগরীয় অঞ্চলের সংকট নিরসনের জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Advertisement

সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর ও বাহরাইন মিলে তাদের প্রতিবেশি দেশ কাতারকে যেসব নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তার যথার্থ কূটনৈতিক সমাধান খুঁজতে নানামুখী প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে এখন মধ্যপ্রাচ্যে সফর করছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন।

কাতারের ওপর সৌদি আরব ও তার মিত্রদের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর সৃষ্ট পরিস্থিতি অবসানের উপায় খুঁজে বের করাই টিলারসনের মূল লক্ষ্য। জঙ্গিবাদে অর্থ সরবরাহ বন্ধ করার বিষয়ে এরই মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও কাতার।

কিন্তু সৌদি আরব ও তার মিত্র-দেশগুলো বলছে, যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হলেও কাতারের ওপর তারা অবরোধ জারি রাখবে। কারণ তারা কাতারের ওপর বিশ্বাস বা আস্থা রাখতে পারছেন না।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের মন্ত্রী নোরা আল কাবি বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, তারা এই চুক্তিকে খুব একটা বিশ্বাসযোগ্য মনে করছেন না। তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে ২০১৩ ও ২০১৪ সালে কাতার দুবার চুক্তি করে এবং সম্পূরক আরও একটি চুক্তি হয় যেখানে সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদকে ঠেকানোর লড়াইয়ের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সবই ছিল মিথ্যে প্রতিশ্রুতি। কার্যত কিছুই তারা করেননি। তাই আমরা তাদের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছি।

Advertisement

সূত্র : আল-জাজিরা, বিবিসি।

কেএ/এসআইএস/জেআইএম