দেশজুড়ে

এবার টাঙ্গাইলে ধরা পড়ল শতাধিক গোখরা

এবার টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার দুইটি বাড়ি থেকে মোট ৭৩টি ও সখীপুর উপজেলার ১টি বাড়ি থেকে ২৬টি বিষধর গোখরা সাপ উদ্ধার করা হয়েছে।

Advertisement

এর মধ্যে সল্লা ইউনিয়নের দেউপুর গ্রামের মোখলেছুর রহমানের বাড়ি থেকে ৪৬টি এবং এলেঙ্গা পৌরসভার মসিন্দা গ্রামের শাহজাহান সিকদারের বাড়ি থেকে ২৬টি সাপ ধরা হয়। উদ্ধার সাপের মধ্যে একটি বড় সাপ আর বাকিগুলো বাচ্চা।

দেউপুর গ্রামের ওই বাড়ির মালিক মোখলেসুর রহমান বলেন, সোমবার ভোরে আমার স্ত্রী রান্না ঘরে গেলে তার পায়ে কিছু একটা এসে পড়ে। তখন তিনি লাইট দিয়ে একটি গোখরা সাপের বাচ্চা দেখে চিৎকার দেন। সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে গিয়ে বাচ্চাটি মেরে ফেলা হয়।

রান্নাঘর থেকে বের হয়ে উঠানে এসে আরও চারটি সাপের বাচ্চা দেখা যায়। এভাবে ২৪টি সাপের বাচ্চা দেখি এবং সেগুলো লাঠি দিয়ে মেরে মাটিতে পুঁতে রাখি।

Advertisement

পরে খবর পেয়ে এক সাপুড়ে এসে থাকার ঘর থেকে মাটি খুঁড়ে ৮টি এবং রান্নাঘর থেকে আরও ১৪টি সাপের বাচ্চা ধরেন। সাপুড়ে এই ২২টি সাপের বাচ্চা জীবিত নিয়ে গেছেন। বাচ্চাগুলোর দৈর্ঘ্য এক হাত। তবে বড় সাপটি এখনো ধরা না পড়ায় সবাই খুব আতঙ্কে আছেন বলে জানান বাড়ির মালিক।

অপরদিকে মসিন্দা গ্রামের শাহজাহান সিকদারের বাড়ির ভাড়াটিয়া হোমিও ডাক্তার দুলাল হোসেন জানান, গত ২ জুলাই শাহজাহান সিকদারের থাকার ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে পুরাতন সুটকেসের ড্রয়ারে একটি বড় গোখরা সাপ দেখতে পান। তখন সাপটি পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়। সাপটির দৈর্ঘ্য সাড়ে চার হাত।

গত রোববার সকালে টিনের ঘরের বেড়ার নিচে ইঁদুরের গর্ত থেকে দুইটি গোখরা সাপের বাচ্চা বের হলে তা মেরে ফেলা হয়। তখন ঘরে আরোও সাপ থাকতে পারে ভেবে উপজেলার কস্তুরীপাড়া এলাকার বায়েজীদ হোসেন নামে এক সাপুড়েকে খবর দেয়া হয়। ওদিন বিকেলে সাপুড়ে এসে অন্যদের সহযোগিতায় ওই ঘরের ইঁদুরের গর্ত থেকে ২১টি বাচ্চা ধরেন।

একইভাবে সোমবার বিকেলে আরও তিনটি সাপের বাচ্চা ধরা হয়। বাচ্চাগুলো লম্বায় এক থেকে দেড় ফিট। জীবিত ২৪টি বাচ্চাই সাপুড়ে বায়েজীদ নিয়ে যান।

Advertisement

এ প্রসঙ্গে সাপুড়ে বায়েজীদ জানান, বিষধর গোখরা সাপের বাচ্চা কাউকে কামড়ালে মারাত্মক কিছু হতে পারে। সাবধান থাকা খুবই জরুরি বলে মনে করছেন তিনি।

একইদিন বিকেলে সখীপুরে উপজেলার হামিদপুর গ্রামের প্রবাসী আশরাফ আলীর বাড়ির রান্নাঘর থেকে ২৬টি গোখরা সাপ ধরা হয়। পরে ওই সাপগুলো স্থানীয়রা এক এক করে মেরে ফেলে।

আরিফ উর রহমান টগর/এএম/বিএ