রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার থেকে ফ্লাইওভারে ওঠার সিঁড়ি সরানোর নির্দেশনা দিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এ রায়ের ফলে ফ্লাইওভারের মাঝপথ দিয়ে ওঠার সিঁড়ি অবিলম্বে সরিয়ে নিতে হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
Advertisement
সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে ওরিয়ন কর্তৃপক্ষের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে এ আদেশ দেন। এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশে মাঝপথ থেকে ফ্লাইওভারে ওঠার সিঁড়ি নেই।
আদালতে ওরিয়ন গ্রুপের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মনিরুজ্জামান।
আদালতে মাঝপথ থেকে ফ্লাইওভারে উঠার সচিত্র প্রতিবেদন দাখিল করেছিলেন রাষ্ট্রপক্ষ। এর আগে গত ৩১ মে ২ সপ্তাহের মধ্যে মাঝপথ থেকে ফ্লাইওভারে উঠার সিঁড়ি অপসারণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন।
Advertisement
সড়ক ও সেতু সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, ঢাকার পুলিশ কমিশনার, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ ও হানিফ ফ্লাইওভার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ওরিয়ন কর্তৃপক্ষকে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। পরে এই আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন ওরিয়ন কর্তৃপক্ষ।
গত ২৮ মে এশিয়ান এইজ পত্রিকায় মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার নো বডি টু টেক অ্যাকশন এগিনেস্ট ইলিগ্যাল স্টেয়ারস! সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদন নজরে নিয়ে আদালত সিঁড়ি অপসারণের নির্দেশ দেন।
এর আগে ১৯ ফেব্রুয়ারি হানিফ ফ্লাইওভারে উঠার জন্য ৬ থেকে ৭টি সিঁড়ি ও বাসস্টেশন অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছিলেন ব্যারিস্টার সাইফুল ইসলাম উজ্জল।
উল্লেখ্য, যাত্রাবাড়ি ফ্লাইওভারে উঠার জন্য সিঁড়ি ও বাসস্টেশন আছে। এসব স্টেশনে বাস ও লেগুনা থামিয়ে যাত্রী উঠানামার কারণে প্রায় সড়ক দুর্ঘটনা ঘঠে। গত ৩-৪ মাসে ফ্লাইওভারের ওপরে ১০ জনের বেশি লোক মারা গেছেন।
Advertisement
এফএইচ/আরএস/জেআইএম