অজানা রোগে ভুগছে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কামারবাইশা গ্রামের ১২ বছরের কিশোরী মুক্তা। তার ডান হাতে এমন এক রোগ হয়েছে যে দেখলে মনে হয় গাছের বাকল দিয়ে ছেয়ে গেছে পুরো হাত। স্থানীয় চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার কথা বললেও অর্থের অভাবে তার দরিদ্র বাবার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।
Advertisement
মুক্তার বাবা মুদি দোকানি ইব্রাহিম জাগো নিউজকে বলেন, মেয়েটা আমার কামারবাইশা প্রাইমারি স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। তিন বছর আগেও স্বাভাবিক বাচ্চাদের মতোই ছিল। নিয়মিত স্কুলে যেত। তিন বছর আগে তার ডান হাতে ছোট একটি ফোড়ার মতো হয়। সেখান থেকে পুরো বৃক্ষের ছালের মতো হয়ে যায় হাতটি। বর্তমানে রোগটি হাত থেকে বুকের আশপাশেও ছড়িয়েছে। এখন আর স্কুলে যেতে পারে না। সহপাঠীরা দেখলে তাকে ভয় পায়।
মুক্তার বাবা আরও বলেন, বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে অনেক ডাক্তার দেখিয়েছি কিন্তু তাতে সুফল মেলেনি। এখন অনেকটা লুকিয়ে রাখতে হয় মুক্তাকে। তাছাড়া আমরাও অনেকটা গরিব মানুষ। ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা করানোর মতো সাধ্য আমার নেই।
মুক্তা জানায়, আমি সুস্থ হয়ে স্কুলে যেতে চাই। আমার বন্ধুরা আমাকে দেখলে ভয়ে পালিয়ে যায়। এখন আর কাছে আসতে চায় না। আমি ভালো হতে চাই।
Advertisement
রোগটির সঠিক কোনো নাম দিতে না পারলেও সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. নাসির উদ্দীন জাগো নিউজকে বলেন, এটা হাইপ্রোটাটাইসিস হতে পারে বা কোনো সংক্রমণের ফলে হয়েছে। তাছাড়া জন্মগতভাবে কোনো ত্রুটি থাকার কারণেও হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে উন্নত চিকিৎসা করালে সুস্থ করা সম্ভব বলে আমি মনে করি।
এদিকে বর্তমানে মুক্তার সুস্থ হওয়ার হাল ছেড়ে দেয়া পরিবারটি মুক্তার সুচিকিৎসার জন্য সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়েছেন।
আকরামুল ইসলাম/এমএএস/আরআইপি
Advertisement