দেশজুড়ে

জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি : পানিবন্দি ৫০ হাজার মানুষ

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ৪ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

Advertisement

রোববার সকালে বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। যমুনা ছাড়াও ব্রহ্মপুত্র, ঝিনাইসহ শাখা নদীগুলোর পানিও বাড়তে শুরু করেছে।

বন্যায় জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার কুলকান্দি, পার্থশী, চিনাডুলী, বেলগাছা, সাপধরী, নোয়ারপাড়া, গাইবান্ধা, গোয়ালেরচর, চরপুঠিমারী, পলবান্ধা, চরগোয়ালীনি, দেওয়াগঞ্জের সদর, চিকাজানি, চুকাইবাড়ি, মেলান্দহের ঝাউগড়া, মাহমুদপুর, কুলিয়া, ঘোষেরপাড়া, মাদারগঞ্জের সদর এবং সরিষাবাড়ীর উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের ৫০ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

পানির তোড়ে ইসলামপুর উপজেলার আমতলী-বলিয়াদহ-শিংভাঙ্গা সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। মেলান্দহ-মাহমুদপুর সড়কের ডাইভারশনে পানি উঠে পড়ায় ব্যাহত হচ্ছে সড়ক যোগাযোগ। এছাড়াও ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন সড়ক বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে পড়ছে জনপদে।

Advertisement

অপরদিকে পানি উঠে পড়ায় জেলার ২২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি হাই স্কুল এবং একটি দাখিল মাদরাসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কাজ ও খাবারের অভাবে চরম দুর্ভোগে পড়েছে পানিবন্দি লোকজন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হলেও দুর্গত এলাকায় তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল।

এ ব্যাপারে জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রাসেল সাবরিন জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইসলামপুরে ১০ মেট্রিক টন ও দেওয়ানগঞ্জে ১০ মেট্রিক টন চাল এবং নগদ ২০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। বন্যা দুর্গতদের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ রয়েছে।

শুভ্র মেহেদী/আরএআর/পিআর

Advertisement