চলতি বছরে (২০১৭ সাল) বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম বাণিজ্যে নতুন রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ২০১২ সালে দেশটি সর্বোচ্চ ৬৯ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করেছিল।
Advertisement
ধারণা করা হচ্ছে, চলতি বছরে ওই রেকর্ড ভাঙতে যাচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন।
‘কাউয়েন ওয়াশিংটন রিসার্চ’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের শনিবার প্রকাশিত গবেষণাপত্রে এমন তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম বিক্রিতে মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদন লাগে। ইতোমধ্যে কংগ্রেস ৫৯ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে। এর সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সৌদি আরব সফরের সময় যে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন তা যুক্ত করলে অস্ত্র রফতানিতে নতুন রেকর্ড তৈরি হবে।
গত তিন বছরে ন্যাটো ৪৬ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে এ খাতে এবং সংস্থাটির ২৯টি দেশের মধ্যে ২৫টিই চলতি বছরে অস্ত্র কেনাবাবদ ব্যয় বাড়ানো পরিকল্পনা করছে। এছাড়া এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোও চীনের হুমকির পরিপ্রেক্ষিত অতিরিক্ত অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম কিনতে অর্থ ব্যয় করছে।
Advertisement
অনদিকে, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, কুয়েত, ওমান ও কাতার ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে অস্ত্র সংগ্রহে মনোনিবেশ করছে। ফলে চলতি বছরে যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম বিক্রিতে নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
‘কাউয়েন ওয়াশিংটন রিসার্চ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক রোমান শুয়েজার বলেন, এশিয়া, ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতির অনিশ্চয়তার মুখে তারা অস্ত্র বিক্রির প্রতি বেশি মনোনিবেশ করেছে। যত বেশি যুদ্ধ তত বেশি অস্ত্র বিক্রি- এমন মিশনে এগিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
সূত্র : প্রেসটিভি
এমএআর/আরআইপি
Advertisement