ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ইজরায়েল সফরের দ্বিতীয় দিন একটি আবেগপূর্ণ মুহূর্তের অবতীর্ণ হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ২০০৮ সালের মুম্বাই সন্ত্রাসের শিকার ছোট্ট মোশে হলৎসবার্গ। মুম্বাই সন্ত্রাসে মাত্র দু’বছর বয়সে বাবা-মাকে হারিয়ে ইজরায়েল বসবাস করছে ছোট্ট মোশে। বর্তমানে তার বয়স ১১।
Advertisement
মোদির সফরের দ্বিতীয় দিন সাতটি চুক্তির মধ্যে অন্যতম ছিল আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ এবং তার মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতা। বুধবার ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানায়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর দু’দেশের মধ্যে সাতটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
দেশটির পররাষ্ট্র সচিব জয়শংকর বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে চলছে ইজরায়েল। এমনকি যারা সন্ত্রাসবাদকে মদত দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ইজরায়েলের অবস্থান স্পষ্ট। চুক্তির পর সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতের অন্যতম সহযোগী দেশ ইজরায়েল।
মোদির এ সফরে দ্বিতীয় দিনটিকে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বলছে দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যম। প্রথমে ইজরায়েলের প্রেসিডেন্ট রিভলিনের সঙ্গে বৈঠক। পরে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানায়াহুর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পর একাধিক চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর। এরপরেই ঘটে ওই আবেগঘন ঘটনা।
Advertisement
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করতে ঠাকুমা-ঠাকুরদার হাত ধরে এসেছিল মোসে হলৎসবার্গে। ৯ বছর আগে লস্কর-ই-তোইবার জঙ্গিরা নরিম্যান হাউজসহ মুম্বাইয়ের একাধিক স্থানে হামলা চালায়। তাদের গুলিতে মোশের বাবা-মা এবং ছয়জন প্রাণ হারান। ঠাকুমার সঙ্গে সেদিন লুকিয়ে থেকে কোনও রকমে প্রাণ বাঁচিয়েছিল ছোট্ট মোশে।
বৈঠক শেষে মোদি তার ভাষণের শুরুতেই বলেন, ৭০ বছর কেন কোনো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইজরায়েলে আসেননি, সেই প্রশ্নটা এখন তোলা দরকার।
এ ছাড়া ইজরায়েলি সেনায় বাধ্যতামূলকভাবে কাজ করেছেন এমন ভারতীয়দের ‘ওভারসিস সিটিজেন অব ইন্ডিয়া (ওসিআই)’ কার্ড দেয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
আরএস/পিআর
Advertisement