খাবারের স্বাদ বাড়াতে আর সুগন্ধ ছড়াতে মরিচের জুড়ি নেই। তবে মরিচের ঝাল নাকি তারুণ্য ধরে রাখে, ক্যানসার দমন করতে সহায়তা করে এবং হৃদপিণ্ডকেও ভালো রাখে। তাই বিশেষজ্ঞরা বলেন মরিচ খান দীর্ঘদিন বাঁচুন।
Advertisement
যে সব দেশে মরিচ খাওয়া হতো না আজকাল সে সব দেশে ঝাল খাওয়ার প্রচলন শুরু হয়েছে। সবুজ, লাল, হলুদ, কমলার মতো নানা রংয়ের মরিচ জার্মানরা গ্রিল, রান্না বা সালাদে ব্যবহার করে থাকেন। কারণ, বিভিন্ন সমীক্ষার মাধ্যমে তারা জানতে পারছেন যে, মরিচ রুচি বা খাবারের গন্ধ বাড়ানো ছাড়াও নানা রোগ-বালাই থেকে মানুষকে দূরে থাকতেও সহায়তা করে।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, জার্মানির বিশেষ কিছু ক্যাফেতে আজকাল মরিচ দেয়া ঝাল, গরম কফি এবং তরল চকোলেট, সাধারণ চকলেট, ঝাল চিপস ইত্যাদি পাওয়া যায়। তরুণ প্রজন্মের কাছে এসব বেশ জনপ্রিয়। ঝাল খাবার যে আজকাল জার্মানদের কাছে পছন্দের তা লক্ষ্য করা যায় চাইনিজ, বাঙালি আর থাই রেস্তোরাঁগুলোতে গেলে।
মরিচ আয়ু মানুষের বাড়াতে সহায়তা করে। মরিচের ঝাল নানা অসুখের ঝুঁকি কমায়। এমনকি ১০ বছর পর্যন্ত নাকি মানুষের আয়ুও বাড়িয়ে দিতে পারে। একটি গবেষণা থেকে এমনটিই জানতে পেরেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভারমন্ট বিশ্ববিদ্যালয়।
Advertisement
কাঁচা মরিচের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে অন্যান্য রোগব্যাধি হওয়া থেকে দূরে রাখতে পারে। তাছাড়া কাঁচা মরিচের আঁশ পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে বিশেষভাবে সহায়তা করে।
মরিচে থাকা বিটা ক্যারোটিন এবং ক্যাপসিকিন হৃদরোগ, ডায়েবেটিস এবং পেটের নানা সমস্যার ঝুঁকি কমায়। আর সে কারণেই ডা.ভল্ফগাং ফাইল-এর মতে একজন মানুষের সপ্তাহে তিনদিন দু’টো করে ছোট কাঁচা মরিচ খাওয়াই যথেষ্ট।
কাঁচা মরিচে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’, যা মানুষের শরীরকে বিভিন্ন সংক্রামক রোগ থেকে দূরে রাখে। তাছাড়া হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতেও সাহয্য করে কাঁচা মরিচ।
পেটে বায়ু হওয়া কমাতে, আধা চা চামচ মরিচের গুঁড়ো এবং এক চা চামচ হলুদ এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে দিনে তিনবার ধীরে ধীরে পান করবেন।
Advertisement
এএ/এমএস