দেশজুড়ে

তিস্তায় নিখোঁজের একদিন পরও উদ্ধার হয়নি বিজিবি সদস্য

তিস্তায় নিখোঁজের একদিন পরও উদ্ধার হয়নি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়া (৩০)। তাকে উদ্ধারে তিস্তা নদীতে কয়েকটি স্পিডবোট কাজ করছে।

Advertisement

বুধবার সকাল থেকে আবারও উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। তিস্তা ব্যারেজের ৭টি গেট খুলে দিয়ে (বিজিবি) ল্যান্স নায়কের খোঁজে উজানের দিকে নজরদারী করছেন বিজিবি সদস্যরা।

লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল গোলাম মোরশেদ জানান, বিজিবি-বিএসএফ’র পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের মাধ্যমেও বুধবার সকাল থেকে আবার উদ্ধার তৎপরতা চালানো হচ্ছে।

এর আগে সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে লালমনিরহাটের দহগ্রাম সীমান্তে তিস্তা নদীতে ভারতীয় গরু পাচার প্রতিরোধ করতে গিয়ে দহগ্রাম সীমান্তে মেইন পিলার ৬-এ’র ৩ নম্বর সাব পিলারের কাছে আবুলের চর নামক একটি জায়গা থেকে তিনি নিখোঁজ হন।

Advertisement

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, সুমন মিয়া রংপুর ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নে কর্মরত হলেও তিনি লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনে দহগ্রাম বিজিবি ক্যাম্পে সংযুক্ত ছিলেন। সোমবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দহগ্রাম বিজিবি ক্যাম্পের হাবিলদার আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একটি টহল দল দহগ্রামের সীমান্তের ৬ নম্বর মেইন পিলারের ৩ নম্বর সাব পিলার এলাকায় তিস্তা নদীতে আবুলের চর যান। গরু পারাপারকারীকে ধরতে নদীতে নামেন বিজিবির সদস্য টুটুল মিয়া এসময় টুটুল মিয়ার নদীতে তলিয়ে যাওয়া দেখে ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়া তাকে উদ্ধারের জন্য নদীতে নেমে নিখোঁজ হন।

এদিকে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার আটঘরিয়া গ্রামে নিখোঁজ বিজিবির ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়ার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। ঈদের দিন রাত ১০টায় সর্বশেষ স্ত্রী জেসমিন আক্তারের স‌ঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন তিনি।

বিজিবি রংপুর সেক্টর কমান্ডার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘দহগ্রামে আবুলের চর থেকে তিস্তা ব্যারেজ পর্যন্ত স্পিডবোটে বিজিবির রিজিওনাল কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম সাইফুল ইসলাম সাইফ স্যারসহ আমি পরিদর্শন করেছি।

বিজিবি, বিএসএফ, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরি দল নিখোঁজ সুমন মিয়াকে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন। এসব কাজে স্থানীয় জনতাও সহযোগিতা করছেন।

Advertisement

রবিউল হাসান/এফএ/এমএস