সাত বছর আগে ইংল্যান্ড থেকেই অভিশপ্ত জীবন শুরু হয়েছিল দারুণ সম্ভাবনাময়ী পাকিস্তানি ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ আমিদের। স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারির কালিমা বয়ে বেড়িয়েছেন পাঁচ বছর। এরপরই মুক্তি মিলেছে আমিরের। এখন তিনি নিয়মিই খেলছেন জাতীয় দলের হয়ে এবং করে যাচ্ছেন দারুণ পারফরম্যান্স। ইংল্যান্ডের মাটি থেকে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতে নিজের পাপের শাপমোচন করেছেন আমির।
Advertisement
এবার সেই ইংল্যান্ডেরই ঘরোয়া ক্রিকেট কাউন্টিতে নাম লেখালেন আমির। খেলছেন এসেক্সের হয়েছে। শুধু তাই নয়, এসেক্সের হয়ে কাউন্টিতে প্রথম ম্যাচেই ঝড় তুলেছেন তিনি। চারদিনের প্রথম শ্রেণির ম্যাচের উদ্বোধনী দিনই এসেক্সকে এগিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানি এই পেসার।
চেলমসফোর্ডের কাউন্টি গ্রাউন্ডে আমিরের এসেক্স মুখোমুখি হয়েছে মিডলসেক্সের। টস জিতে ব্যাট করতে নামে মিডলসেক্স। মোহাম্মদ আমিরই প্রতিপক্ষের ব্যাটিংয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেন। দ্বিতীয় ওভারেই এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে সাজঘরে পাঠিয়ে দেন ওপেনার নিক গাবিন্সকে। রানের খাতা খোলার আগেই আউট হয়ে ফিরে যান মিডলসেক্সের ওপেনার।
এরপর আরও একজনকে এলবির শিকার করে সাজঘরে ফেরান মোহাম্মদ আমির। ৬ রান করে লেগ বিফোর হয়ে ফিরে যান জন সিম্পসন। স্টিভেন এস্কিনাজি, ডেভিড মালান এবং পল স্টার্লিংয়ের ব্যাটে ভর করেই অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান সংগ্রহ করে মিডলসেক্স। ১৬ ওভার বল করে ৫৩ রান দিয়ে ওই দুটি উইকেটই দখল করেন আমির।
Advertisement
দক্ষিণ আফ্রিকান স্পিনার সাইমন হার্মারই কিন্তু আসল কাজটা করেন। ২০ ওভার বল করে ৭৭ রান দিয়ে তিনি একাই নেন ৫ উইকেট। আমির ছাড়াও ২টি নেন জেমি পোর্টার এবং ১ উইকেট নেন রবি বোপারা।
জবাব দিতে নেমে নিক ব্রাউন আর অ্যালিস্টার কুকের ব্যাটে দারুণ সূচনা করেছে এসেক্স। ৩৬ ওভার খেলে অবিচ্ছিন্ন থেকে দু’জন গড়েছেন ১০৬ রানের জুটি। ৪০ রানে ব্রাউন এবং ৬৪ রানে উইকেটে রয়েছেন কুক।
আইএইচএস/পিআর
Advertisement