দক্ষিনাঞ্চলের ২১ জেলার ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে প্রবেশদ্বার শিমুলিয়া ঘাটে। পারাপারের অপেক্ষায় প্রায় ৬ শতাধিক যানবাহন রয়েছে ঘাট এলাকায়। এছাড়াও যাত্রী চাপের কারণে নৌযান গুলোতে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে পার করা হচ্ছে।
Advertisement
শনিবার সকাল থেকে যাত্রী আর যানবাহনের চাপ লক্ষ্য করা যায়। যা বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে শুরু করেছে।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক গিয়াসউদ্দিন পাটোয়ারি জানান, ১৮টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যাত্রীবাহী পরিবহন পারাপার করা হচ্ছে, পণ্যবাহী যান পারাপার এখন বন্ধ রয়েছে।
নৌ-ফাঁড়ি ইনচার্জ সুরুজিত কুমার ঘোষ জানান, সকাল থেকেই যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেশি। ঘাট এলাকায় অন্তত ৬ শতাধিক যাত্রীবাহী যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। যার সারিবদ্ধ লাইন চৌরাস্তা ছাড়িয়ে গেছে। তাছাড়া পণ্যবাহী যানবাহনগুলো মহাসড়কের একপাশে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে। যাত্রীবাহী যানবাহনের চাপ কমলে এগুলো পারাপার করা হবে।
Advertisement
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লিমা আক্তার জানান, ঘরমুখো মানষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ৬শ পুলিশসহ আনসার, র্যাব ঘাট এলাকায় নিয়োজিত রয়েছে। যাত্রীদের সর্বাত্মক অগ্রাধিকার দিয়ে যাত্রীবাহী যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত ভালো আছে।
এদিকে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের শ্রীনগর উপজেলার বেজগাঁও এলাকায় ঢাকা থেকে মাওয়াগামী গুনগুন পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাঁদে পড়ে গেলে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।আহতদের স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ।
ভবতোষ চৌধুরী নুপুর/এফএ/জেআইএম
Advertisement