ঈদুল ফিতরের বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসও শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ও নাড়ির টানে গ্রামে ছুটছেন মানুষ।
Advertisement
গত কয়েকদিন ধরেই রাজধানী থেকে বাড়িফেরা মানুষের ঢল নেমেছে বিভিন্ন বাস টার্মিনাল, রেলওয়ে স্টেশন ও সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে।
এবার ঈদে সড়কপথের মতোই ঘরমুখো মানুষের ঢল লক্ষ্য করা গেছে সদরঘাটে।
শুক্রবার সকালে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেলো, এখানে উপচেপড়া ভিড়। বিভিন্ন বয়সী মানুষের লোকারণ্য হয়ে উঠেছে সদরঘাট।
Advertisement
সদরঘাট ঘুরে ও বিভিন্নজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সেহরী খাবার পরপরই ঘরমুখো যাত্রীরা নিজ গন্তব্যে ফিরতে নির্ধারিত রুটের লঞ্চে উঠতে শুরু করেন। ভোর ৫টা থেকে যাত্রীবোঝাই করে গন্তব্যে ঘাট ছেড়ে যাচ্ছে লঞ্চগুলো।
তবে যাত্রীর আধিক্য থাকায় নির্ধারিত সময়ের আগেই ঘাট ছেড়ে গেছে ১৮টি লঞ্চ।
ঘাট সূত্র জানায়, ঈদ মৌসুমে প্রায় প্রতিটি লঞ্চই নির্ধারিত সময়ের আগেই যাত্রীবোঝাই হয়ে যায়। তাই একই রুটে চলাচল ঘাটে একাধিক লঞ্চ ভেড়ানো থাকে।
এবার মোট ৪১টি রুটে ২০৬টি লঞ্চ চলাচল করবে সদরঘাট থেকে। সেইসঙ্গে চলবে ঈদ উপলক্ষে বিশেষ লঞ্চগুলো। বৃহস্পতিবার ৫টি বিশেষ লঞ্চ চালু করা হয়েছে।
Advertisement
জানতে চাইলে সদরঘাট ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক নেওয়াজ খান জাগো নিউজকে বলেন, যাত্রীদের ভিড় ভোর থেকেই। স্বাভাবিকের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি যাত্রী রয়েছে। ভোর ৫টা থেকে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ১৮টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। অন্যান্য দিনে এ সময়ে ৫টির বেশি লঞ্চ ছাড়ত না।
ভোলাগামী লঞ্চের যাত্রী ওহাব বলেন, আমি গাজীপুর থেকে সেহরী খাবার পরপরই রওয়ানা হয়েছি। মাত্র এসে নামলাম ঘাটে। পথে কোনো সমস্যা না হলেও লঞ্চ টার্মিনালের গেটেই প্রচুর যাত্রীর চাপ।
এসএম/এসআর/আরআইপি