ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, মোবাইলে ফোনের কলরেটের সর্বনিম্ন অবস্থানের দিক থেকে বাংলাদেশ দ্বিতীয়। বর্তমানে সর্বনিম্ন ২৫ পয়সা হতে সর্বোচ্চ দুই টাকা কলরেট নির্ধারণ করা আছে। প্রয়োজনে কলরেট কমানো যেতে পারে।
Advertisement
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এসব কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ সংক্রান্ত প্রশ্নটি সংসদে উত্থাপন করেন সরকারি দলের সদস্য দিলারা বেগম।
তিনি আরও বলেন, প্রতিযোগিতামূলক মার্কেটে মোবাইল কোম্পানিগুলো নির্ধারিত এই কলরেটের মধ্যেই তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে। পাশ্ববর্তী দেশসমূহের তুলনায় এটি যথেষ্ট কম। বর্তমানে দেশে মোবাইল ফোনের গ্রাহক সংখ্যা ১৩ কোটি ৩১ লাখ ১৪ হাজার ২০৬ এবং ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা সাত কোটি ৭৭ হাজার ৯৬৯ জন।
ন্যাপের আমিনা আহমেদের অপর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, জনগণের নিকট ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য দুটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে নেশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠান দুটি হচ্ছে- ফাইবার অ্যাট হোম লিমিটেড ও সামিট কমিউনিকেশন লিমিটেড।
Advertisement
সর্বোচ্চ রাজস্ব দিয়েছে গ্রামীণফোন চলতি অর্থবছরে (২০১৬-১৭) মোবাইল ফোন কোস্পানিগুলোর মধ্যে গ্রামীণফোন সর্বোচ্চ রাজস্ব দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। সরকারি দলের সংসদ সদস্য সুকুমার রঞ্জন ঘোষের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, চলতি অর্থবছরের পহেলা জুলাই থেকে ১০ জুন পর্যন্ত সময়ে মোট ৮৫৫ কোটি এক লাখ রাজস্ব আদায় হয়েছে। এরমধ্যে গ্রামীণফোন সর্বোচ্চ ৪৩০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা রাজস্ব দিয়েছে। গত অর্থবছরে (২০১৫-২০১৬) প্রতিষ্ঠানটি রাজস্ব দিয়েছিল ৫২৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।
একই প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, চলতি অর্থবছরে রবি আজিয়াটা লিমিটেড ২২১ কোটি ৭০ লাখ টাকা, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন্স লিমিটেড ১৬১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা, এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেড ১৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড ১১ কোটি ৪ লাখ টাকা এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড ১৫ কোটি ৬ লাখ টাকা রাজস্ব দিয়েছে।
এইচএস/আরএস/জেআইএম
Advertisement