প্লাস্টিকের পুতুল। পশ্চিমা নারী গড়নে তৈরি পুতুলটি ডান হাত উঁচিয়ে সম্বোধন করতে চাইছে। আর তাতেই সবার নজর কাড়ছে। যেই আসছেন, সেই যেন থমকে যাচ্ছেন। পুতুলের রূপে বিমোহিত ক্রেতারা। পুতুলের রূপ! ঠিক তা নয়। পুতুলকে পরিয়ে দেয়া লেহেঙ্গায় রূপের ঝলক ছুটছে। গাঢ় লাল রংয়ের লেহেঙ্গা। তাতে পুতুলের গোড়ালি পর্যন্ত ঢাকা। ছোট ওড়না। পুরো লেহেঙ্গা জুড়েই হাতের কাজ। গাড় লাল সোনালী রংয়ের ফুলগুলো বাড়তি রূপ দিয়েছে জমিনজুড়ে।
Advertisement
লেহেঙ্গার নিম্নভাগে (পাড়) নকশার কারিশমা আরও বেশি। ঠিক ওড়নাতেও তাই। আর এ নকশাই এর বিশেষত্ব দাঁড় করিয়েছে।
রূপ ধরছে না পুতলেই। ধরবেই বা কেন? আড়াই লাখ টাকা দাম যার, তার রূপ তো ফুটবেই। রূপেই মূল্য-ই নির্ধারণ করে দিচ্ছে পোশাকটির।
রাজধানীর বসুন্ধরা সিটির শাড়ি সেন্টার। অভিজাত শাড়ির দোকানগুলোর মধ্যে একটি। শাড়ির দোকান হলেও আধিক্য লেহেঙ্গার। বিদেশে তৈরি এসব লেহেঙ্গায় একেবারে ঠাসা দোকানটি। শাড়ি আছে এক কোণায়। বিশাল দোকানের বাকি জায়গা লেহেঙ্গার দখলে। ঈদবাজারে আরও সেজেছে হরেক রকম লেহেঙ্গায়।
Advertisement
রূপের সঙ্গে দামেরও ভিন্নতা আছে। পাঁচ হাজার থেকে শুরু করে তিন লাখ টাকার লেহেঙ্গা মিলছে শাড়ি সেন্টারে। তবে বেশির ভাগ লেহেঙ্গাই ইন্ডিয়া থেকে আনা। বেশি দামেরগুলো আনা হয়েছে দিল্লি থেকে। দিল্লির লেহেঙ্গার কদর বেশি। দামও বেশি। এরপরের অবস্থান গুজরাটের। তবে বোম্বে, মুম্বাইয়ের লেহেঙ্গা কিছুটা সাশ্রয়ী, কিন্তু মান কিছুটা কম।
শাড়ি সেন্টারের মালিক পক্ষের একজন আব্দুল মালেক। বলেন, শাড়ির চেয়ে এখন লেহেঙ্গাতেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। লেহেঙ্গার কদর বাড়ছে এবং বেশি পরিমাণে বিক্রি করছি বসুন্ধরা সিটিতি। দিল্লি থেকে আনা ভালো মানের লেহেঙ্গাগুলো সবই প্রায় দুই লাখ টাকার উপরে বলে জানালেন তিনি। তবে দেশেও এখন ভালো মানের লেহেঙ্গা তৈরি হচ্ছে বলে মত দেন।
ঈদবাজারের কেমন কাটতি- জানতে চাইলে বলেন, খুব ভালো বলা যাবে না। সবাই তো এখন ইন্ডিয়া যাচ্ছে। সেখান থেকে কম দামে আনার সুযোগ পাচ্ছে। এ কারণেই মন্দাভাব। তবে গেল নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারিতে ভালো বিক্রি হয়েছে। এই সময়টা বিয়ের মৌসুম বলে শাড়ির পাশাপাশি লেহেঙ্গারও কদর বেশি।
এএসএস/এমআরএম /এএইচ/পিআর
Advertisement