বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সঙ্গে নিজেদের থাকা না থাকা নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতি।
Advertisement
বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রহমত উল্যাহ নিজের একক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।’
যদিও সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তিনি কীভাবে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেন তা জানা নেই। যদি শিক্ষক সমিতির এমন কোনো সিদ্ধান্ত হতো তাহলে ইতোপূর্বে সমিতির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির ন্যায় আজকের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতেও সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর থাকত। কিন্তু আজকের বিজ্ঞপ্তিতে এমনটা হয়নি। এটা উনার বক্তব্য হতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির আজকের সভায় ফেডারেশনের যে কমিটি গঠিত হয়েছে সে বিষয়ে একটি অবজারবেশন আছে, সেটি ঈদের পরে আরেকটা সভা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। সম্পর্ক ছিন্নের সিদ্ধান্ত হয়নি।’
Advertisement
সমিতির সাধারণ সম্পাদকের একক স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, ‘বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব ভবনে সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নির্বাহী পরিষদের সদস্যরা গতকাল (বুধবার) ‘অনিয়মতান্ত্রিকভাবে’ গঠিত বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির (২০১৭-১৮) সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি কোনো সম্পর্ক না রাখার ব্যাপারে মত দেন। এমতাবস্তায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ওই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।’
এ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রহমত উল্যার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। এদিকে অধ্যাপক রহমত উল্যাহর সমিতির সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠানো নিয়ে শিক্ষকরা বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
অনেকে বিষয়টিকে শিক্ষক নেতাদের নোংরামি বলে মন্তব্য করেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক অধ্যাপক বলেন, ‘সমিতির প্যাড ব্যবহার করে সাধারণ সম্পাদকের এ ধরনের বিজ্ঞপ্তি দেয়া ঠিক হয়নি।’
এমএইচ/জেডএ/জেআইএম
Advertisement