হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থার্ড টার্মিনালের নির্মাণ কাজ আগামী বছরের এপ্রিলে শুরু হবে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের সফট ওপেনিং এবং ২০২১ সালের এপ্রিলে নির্মাণ কাজ শেষ হবে। ইতোমধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নে চারটি প্রতিষ্ঠানকে যৌথভাবে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
Advertisement
রোববার সিভিল এভিয়েশন অথরিটির প্রধান কার্যালয়ে জাপানি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিপপন কায়োর সঙ্গে চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
মেনন বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের যাত্রী হ্যান্ডলিং ক্যাপাসিটি বাৎসরিক ৮ মিলিয়ন এবং কার্গো হ্যান্ডলিং ক্যাপাসিটি বাৎসরিক ২ লাখ টন। বিমানবন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং ইতোমধ্যে সক্ষমতা হারিয়েছে। ২০১৮ সালে যাত্রী হ্যান্ডেলিং ক্যাপাসিটিও সক্ষমতা হারাবে। এজন্য বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
বেবিচক চেয়ারম্যান এহসানুল গণি চৌধুরী এবং নিপপন কায়োর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারওহিকো কানাই চুক্তিতে সই করেন। এ সময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন উপস্থিত ছিলেন। পরার্শক প্রতিষ্ঠানের জন্য সিভিল এভিয়েশনকে ব্যয় করতে হচ্ছে ৫৭০ কোটি ৭৯ লাখ ৭৪ হাজার টাকা।
Advertisement
উল্লেখ্য, প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ হাজার ৬১০ কোটি ৪৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা। তৃতীয় টার্মিনাল ভবনের আয়তন ২ লাখ ২৬ হাজার বর্গমিটার। নতুন কার্গো ভিলেজের আয়তন হবে ৪১ হাজার ২০০ বর্গমিটার। ভিভিআইপি কমপ্লেক্স ৫ হাজার ৯০০ বর্গমিটার। পার্কিং অ্যাপ্রোন ৪ লাখ ৯৮ হাজার ৫০০ বর্গমিটার। এছাড়া র্যা পিড এক্সিট অ্যান্ড কানেকটিং টেক্সিওয়ে, তৃতীয় টার্মিনাল ভবনের সঙ্গে মূল এয়ারপোর্টের সড়কের কানেকটিভিটি তৈরি করা হবে।
জাপানের নিপপন কায়ো, ওরিয়েন্টাল কনস্যালটেন্ট গ্লোবাল, সিঙ্গাপুরের সিপিজি কনস্যালটেন্ট, বাংলাদেশের ডিজাইন কনস্যালটেন্টস লিমিটেড যৌথভাবে এ প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো নির্মাণ কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত তদারকি করবে।
আরএম/জেএইচ/এএইচ/পিআর
Advertisement