সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে কাতারের একটি মানবাধিকার সংগঠন। দেশ তিনটি কাতারের কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ সমর্থনের অভিযোগে সম্পর্কচ্ছেদ করায় শতাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন সংগঠনটির কাছে। তাদের এই অভিযোগের ভিত্তিতে আইনি পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে কাতারি এ মানবাধিকার সংগঠন।
Advertisement
কাতারের অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, বৃহস্পতিবার সৌদি আরব এবং তাদের মিত্ররা যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে কাতারের ৫৯ ব্যক্তি, ১২ প্রতিষ্ঠান এবং বেশ কয়েকটি দাতব্য সংস্থার নাম প্রকাশ করে তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ সমর্থনের অভিযোগ তোলে। তালিকা প্রকাশের পর কাতারের প্রতিষ্ঠানগুলো সৌদি আরবসহ তাদের মিত্র দেশগুলোর ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে।
শনিবার কাতারের জাতীয় মানবাধিকার কমিটি (এনএইচআরসি) জানিয়েছে, ক্ষতির ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক আইন সংস্থাকে নিযুক্ত করার চেষ্টা করছে তারা। কালো তালিকা প্রকাশ করে দেশগুলো উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের (জিসিসি) নাগরিকদের অধিকার লঙ্ঘন করেছে বলেও মনে করে এনএইচআরসি।
এনএইচআরসি’র প্রধান আলি বিন স্মাইখ আল মাররি দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘একযোগে কাতারকে বয়কটে উপসাগরীয় দেশগুলোর সিদ্ধান্ত যৌথ শাস্তি এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ।’
Advertisement
গত ৫ জুন সৌদি আরবের নেতৃত্বে মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। পরে সম্পর্ক ছিন্নের এই তালিকায় যোগ দেয়, লিবিয়া, ইয়েমেন, জর্ডান ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মালদ্বীপ। দেশগুলো কাতারের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদে সমর্থন ও অর্থায়নের অভিযোগ করেছে। তবে কাতার সেই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের পর কাতারের জন্য আকাশ, স্থল ও সমুদ্র সীমা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রতিবেশি রাষ্ট্রগুলো। একই সঙ্গে কাতার থেকে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন তাদের নাগরিকদের ১৪ দিনের মধ্যে নিজ দেশে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়া এসব দেশ থেকে একই সময়ের মধ্যে কাতারি নাগরিকদেরও ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সূত্র : আল-জাজিরা।
কেএ/এসআইএস/পিআর
Advertisement