অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারকে উৎখাতের ‘ষড়যন্ত্রে’ লিপ্ত রয়েছেন অভিযোগ করে তাকে মন্ত্রিপরিষদ থেকে প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন বিড়ি শ্রমিকরা।
Advertisement
শনিবার দুপুরে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গবেষণা ও উন্নয়ন কালেকটিভ এবং বাংলাদেশ বিড়ি-শ্রমিক ফেডারেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তারা এসব দাবি করেন।
সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মশিউর রহমানকে ‘মীরজাফর’ অভিহিত করে অবিলম্বে অর্থমন্ত্রী পদত্যাগ না করলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা। তারা বলেন, এদের পেছনে সরকারের গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো উচিত।
২০১৭-১৮ অর্থ বছরে নতুন বাজেটে বিড়ির উপর আরোপিত ‘অতিরিক্ত কর’ প্রত্যাহারের দাবিতে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
Advertisement
এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক এবং গবেষণা ও উন্নয়ন কালেকটিভের চেয়ারপার্সন ড. মিসবাহ কামাল।
বক্তব্য রাখেন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) এর সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম, আব্দুর রহমান প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বিড়ি শিল্পকে ধ্বংস করার উদ্দেশে বাজেটে অতিরিক্ত কর আরোপ করা হয়েছে অভিযোগ করে বলেন, গত ১৪ বছরে এ খাতে মাত্র ১২৬ টাকা কর আরোপ করা হলেও এবার একসঙ্গে ১৭৬ টাকা বাড়ানো হয়েছে। অর্থমন্ত্রী বলছেন তিনি বিড়ি বন্ধ করে দেবেন। কিন্তু এটা করলে দেশের জনগণই ঠিক করবে কী বন্ধ হবে, আর কী চালু হবে।
তারা বলেন, অর্থমন্ত্রী এমন বাজেট ঘোষণা করেছেন যার প্রতিবাদ করেছে দেশের কুলি-মজুর থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত,নিম্ন মধ্যবিত্ত সবাই। আমরা এ বাজেট প্রত্যাখ্যান করছি।
Advertisement
সমাবেশে বক্তারা কয়েকটি দাবি উত্থাপন করেন। এর মধ্যে রয়েছে- বিড়ির ওপর প্রস্তাবিত বৈষম্যমূলক ও অতিরিক্ত রাজস্ব কর প্রত্যাহার, বিড়িশিল্প বন্ধের ঘোষণা প্রত্যাহার, আমেরিকান টোবাকো কোম্পানির দালালি না করা, সব ব্র্যান্ডের বিদেশি সিগারেট বন্ধ করা, লাখ লাখ বিড়ি শ্রমিকের কর্মসংস্থান নিয়ে ষড়যন্ত্র বন্ধ করা এবং প্রতি হাজার বিড়ি তৈরির মজুরি ৮০ টাকা নির্ধারণ।
এমএইচ/এমএমজেড/জেআইএম