আন্তর্জাতিক

কাতারে কেন সেনা পাঠাচ্ছে তুরস্ক?

জঙ্গি সংগঠনগুলোকে সমর্থনের অভিযোগে কাতারের সঙ্গে সৌদি আরব, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন কূটনৈতিক সম্পর্কচ্ছেদের মাত্র দুই দিন পর তুরস্কের পার্লামেন্ট একটি আইন পাস হয়েছে। এই আইনে কাতারে সামরিক ঘাঁটিতে তুরস্কের সেনা মোতায়েনের অনুমোদন দিয়েছে আঙ্কারার পার্লামেন্ট।

Advertisement

কাতারে তুরস্কের সেনা মোতায়েনের এই বিষয়টিকে তুর্কি বিশ্লেষকরা আপাতদৃষ্টিতে কাতারের প্রতি সমর্থন প্রদর্শন হিসেবে দেখছেন।

তুরস্কের প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক কান কাসাপোগলু আল-জাজিরাকে বলেন, এটি প্রকৃতপক্ষে কাতারের সঙ্গে তুরস্কের প্রতিরক্ষা সম্পর্ককে এই অঞ্চলের কৌশলগত অপরিহার্য স্তম্ভ হিসেবে দেখছে আঙ্কারা। তবে এটাও দেখা যায় যে আঙ্কারা আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতার জন্য দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আনবে না।

ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সেতা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক কাদির উসতুন বলেন,  দীর্ঘদিন ধরে কাতারের ভেতরে তুরস্কের একটি সামরিক ঘাঁটি আছে। এই মুহূর্তে কাতারে তুর্কি সেনাবাহিনীর উপস্থিতি বাড়ানোর অর্থ হচ্ছে কাতারকে পুনরায় আশ্বস্ত করা।

Advertisement

২০১৪ সালে তুরস্ক এক চুক্তিতে মধ্যপ্রাচ্যে প্রথমবারের মতো সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করে কাতারে। এই ঘাঁটিতে সেনা ধারণ ক্ষমতা প্রায় ৫ হাজার। তবে বর্তমানে সেখানে ২০০ তুর্কি সেনার উপস্থিতি রয়েছে।

বুধবার রাতে তুরস্কের পার্লামেন্টে নতুন দুটি আইনের অনুমোদন দেয়া হয়।  এর মধ্যে একটি ছিল কাতারে তুরস্কের সেনা মোতায়েন নিয়ে, অপরটি হচ্ছে সামরিক প্রশিক্ষণ সহযোগিতায় দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তির অনুমোদন।

তুরস্কের পার্লামেন্টে এমন এক সময় এ দুই আইনের অনুমোদন দেয়া হলো; যার মাত্র দুই দিন মধ্যপ্রাচ্যের শক্তিশালী ছয় দেশ সৌদি আরবের নেতৃত্বে কাতারের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছে। বুধবার তুরস্কের ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট পার্টির (একেপি) এক এমপি বিশেষ এক অধিবেশনে ওই নতুন দুটি আইন পার্লামেন্টে উপস্থাপন করেন।

এসআইএস/আরআইপি

Advertisement