নিমতলী ট্র্যাজেডির ৭ বছর পেরিয়ে গেলেও রাজধানীর পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিক পদার্থের গুদাম না সরানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরিবেশবাদীরা।
Advertisement
তারা বলছেন, ২০১০ সালের ৩ জুন পুরান ঢাকার নিমতলীতে রাসায়নিক পদার্থের গুদামে বিস্ফোরণে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১২৪ জন মারা যান। দুর্ঘটনার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৈধ ও অবৈধ কারখানাগুলো সরাতে উদ্যোগ নেয়। কিন্তু ৭ বছর অতিবাহিত হলেও নিমতলীর আশপাশ এলাকা এবং পুরান ঢাকা থেকে এখনও গুদাম ও কারখানা সরিয়ে নেয়ার দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।
শনিবার পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনসহ (পবা) ২১টি পরিবেশবাদী ও সমমনা সংগঠনের উদ্যোগে নিমতলী ছাতা মসজিদের সামনে ‘পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিক পদার্থের গুদাম, কারখানা ও দোকান সরিয়ে নেয়া হোক’ শীর্ষক মানববন্ধনে বক্তারা এ দাবি জানিয়েছেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পবার সহ-সম্পাদক এম এ ওয়াহেদ।
Advertisement
পবার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান বলেন, পুরান ঢাকা ঐতিহ্যবাহী ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। এখানে একই ভবনে রয়েছে রাসায়নিক কারখানা, গুদাম ও দোকান, বাসা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। ২০১০ সালের ৩ জুন নিমতলীতে রাসায়নিক গুদামে বিস্ফোরণে ১২৪ জন মারা যান এবং অনেকে আহত হন। দুর্ঘটনার পরপরই সরকারিভাবে বিভিন্ন কমিটি করা হয়।
‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত কমিটি পুরান ঢাকাসহ ঢাকার সব রাসায়নিক কারখানা গুদাম ও দোকানের জন্য অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত একটি এলাকা গড়ে তোলার সুপারিশ করে। দীর্ঘ ৭ বছর পার হলেও তৎকালীন কমিটির সুপারিশ আজও আলোর মুখ দেখেনি।’
তিনি বলেন, ঢাকা মহানগরীতে এক হাজারের বেশি রাসায়নিক কারখানা ও গুদাম রয়েছে। যার প্রায় ৮৫০টি পুরান ঢাকায়। এসব কারখানা গুদাম নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব রয়েছে পরিবেশ অধিদফতর, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, বিস্ফোরক অধিদফতর, ফায়ার সার্ভিস ও জেলা প্রশাসন। এসব সংস্থাকে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে আমরা দেখছি না।
প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি ও বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ৩৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজি মো. আউয়াল, পুরান ঢাকা নাগরিক উদ্যোগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, পবার সহ-সম্পাদক মো. সেলিম, সুবন্ধন সমাজকল্যাণ সংগঠনের সভাপতি হাবিবুর রহমান, বিসিএইচআরডির সভাপতি মাহবুব হক, বিডিক্লিকের সভাপতি আমিনুল ইসলাম টুব্বুস, পবার সদস্য ক্যামেলিয়া চৌধুরী, দেবীদাস ঘাট সমাজকল্যাণ সংসদের সভাপতি মো. মুসা, নগরবাসী সংগঠনের সভাপতি হাজি আনসার আলী, পুষ্প সাহা পুকুর রক্ষা কমিটির সভাপতি নাসির খান মিন্টু, মাস্তুলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মার্জান, বাংলাদেশ নিরাপদ পানি আন্দোলনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
Advertisement
এমএসএস/এমআরএম/আরআইপি