প্রস্তাবিত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে বেশকিছু পণ্য ও সেবা আমদানিতে শুল্ক (সিডি), সম্পূরক শুল্ক (এসডি) বাড়ানো হয়েছে। এসব পণ্যের দাম বাড়বে।
Advertisement
এছাড়া কিছু পণ্য ও সেবার স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর পাশাপাশি আয়করেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। এসব কারণে ওই পণ্যের দাম বাড়তে পারে।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য ‘উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ : সময় এখন আমাদের’ শীরোনামে ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেন। এ সময় এসব পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়।
এর মধ্যে রয়েছে- ইমিটেশন জুয়েলারি: স্বর্ণের দাম বেশি হওয়ার নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত নারীদের প্রিয় ইমিটেশন জুয়েলারির দাম বাড়বে। পণ্যটির সম্পূরক শুল্ক ২০ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হচ্ছে। এছাড়া ভ্যাট হারও বাড়ানো হয়েছে।
Advertisement
ব্যাটারি : বাজেটে লিথিয়াম, লেড এসিড, ম্যাঙ্গানিজ ডাই অক্সাইডসহ সব ধরনের ব্যাটারি সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। তাই ব্যক্তিগত গাড়িতে ব্যবহৃত ব্যাটারিসহ, আইপিএস, ইউপিএসে ব্যবহৃত ব্যাটারির দাম বাড়বে।
কিচেনওয়্যার : রান্না ঘরে ব্যবহৃত টেবিলওয়্যার ও কিচেনওয়্যারের সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এতে পণ্যটির দাম বাড়বে।
বিড়ি-সিগারেট : সম্পূরক শুল্ক ও মূল্য স্তর দুটোই বাড়ানো হয়েছে বিড়ি-সিগারেটের। এতে সব ধরনের সিগারেট ও বিড়ির দাম বাড়বে।
টুথব্রাশ : ডেন্টাল প্লট ব্রাশসহ সব ধরনের টুথ ব্রাশের শুল্ক ২০ থেকে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এ কারণে এ জাতীয় পণ্যের দাম বাড়বে।
Advertisement
এছাড়া আরো দাম বাড়তে পারে, জর্দা-গুল, জানালার পর্দা, জামা-কাপড়, জুতা, সিরামিকের তৈরি ইট, কম্বল, রেজর, ব্লেড, রঙিন টেলিভিশন, টিভি কার্ড, আসবাবপত্র, স্যানিটারি টাওয়াল, শ্যাম্পু, প্রসাধনসামগ্রী, ডিউড্রেন্ট ইত্যাদি। এমএ/এমএআর/পিআর