জাতীয়

পূর্বাচলে প্লট নম্বর পেলেন ৬৭০ মূল অধিবাসী

রাজউক পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের কিছু অংশের ৭৩২ জন বরাদ্দপ্রাপ্ত মূল অধিবাসীদের মধ্যে ৬৭০ জনকে প্লট আইডি নম্বর দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে তিন কাঠার ৩৯৩ জন এবং ৫ কাঠার ২৭৭ জন প্লট নম্বর পেয়েছেন। বাকি ৫ কাঠা আয়তনের ৬২ জনের নম্বর পরে দেয়া হবে।

Advertisement

রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যানে সভাপতিত্বে সংস্থার সভাকক্ষে লটারির মাধ্যমে মূল অধিবাসীদের এসব আইডি নম্বর দেয়া হয়।

রাজউক কর্তৃপক্ষ জানায়, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে বিভিন্ন আয়তনের আবাসিক প্লটের সংখ্যা ২৫ হাজার ১৬টি। অন্যান্য (বাণিজ্যিক, প্রতিষ্ঠানিক ও প্রশাসনিক) বিভিন্ন আয়তনের প্লটের সংখ্যা এক হাজার ৯৯২টি। প্রকল্পটিতে সর্বমোট ২৭ হাজার ৮টি প্লট রয়েছে। এর মধ্যে ১০ কাঠা আয়তনের দুই হাজার ২৫টি, সাড়ে সাত কাঠার দুই হাজার ৬১৮টি, ৫ কাঠার ১০ হাজার ৩৬১টি এবং তিন কাঠা আয়তনের প্লট রয়েছে ১০ হাজার ১২টি।

নারায়ণগঞ্জ অংশে মূল অধিবাসী হিসেবে প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৪ হাজার ৫২টি। এই অংশটিতে ক্ষতিগ্রস্থ হিসেবে প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৭৩০টি। এ ছাড়া গাজীপুর অংশ মূল অধিবাসী হিসেবে এক হাজার ৬৪২টি প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

Advertisement

পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে আবাসিক, মূল অধিবাসী ও ক্ষতিগ্রস্থ প্লটের বিস্তারিত বিবরণে জানা গেছে, পূর্বাচল প্রকল্পে বিভিন্ন আয়তনের আবাসিক প্লট রয়েছে ২৫ হাজার ১৬টি। এর মধ্যে ২৪ হাজার ৭৬৬টি প্লট বরাদ্দ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ২৫০টি প্লট সাধারণ ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য রাখা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ অংশে মূল অধিবাসী প্লট রয়েছে ৪ হাজার ৫২টি। এর মধ্যে ২০০৪ সালে দুই হাজার ৮২৩টি, ২০১০ সালে এক হাজার ৩৪টি, ২০১৩ সালে ১৬৭টি এবং একই সালের মস্তুল মৌজায় ২৮টি প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১২২টি প্লটের আইডি এখনো দেয়া হয়নি।

নারায়ণগঞ্জ অংশে সাধারণ ক্ষতিগ্রস্থ প্লট রয়েছে ৭৩০টি। এর মধ্যে ২০১০ সালে ৭০০টি এবং ২০১৩ সালে ৩০টি প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বাকি ২০টি প্লটের আইডি পরবর্তীতে দেয়া হবে।

গাজীপুর অংশের মূল অধিবাসী প্লট রয়েছে এক হাজার ৬৪২টি। এর মধ্যে ২০১২ সালে ৮০৭টি, ২০১৫ সালে প্রথম ধাপে ৮০৪টি এবং দ্বিতীয় ধাপে ৩১টি প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে ৭৩৭টি প্লটের আইডি নম্বর এখনো দেয়া হয়নি।

Advertisement

একই অংশের ক্ষতিগ্রস্থ প্লট মোট ২৫০টি প্লট রয়েছে। এ অংশে এখনো কোনো প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়নি। প্লটগুলো বরাদ্দ দিতে যাচাই-বাছাই কার্যক্রম চলছে।

অনুষ্ঠানে প্লট বরাদ্দপ্রাপ্তরা অভিযোগ করেন, অনেক সময় বরাদ্দের চিঠি পেতে হয়রানির শিকার হতে হয়। এর জাবাবে রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, কোনো হয়রানি সহ্য করা হবে না। হয়রানি রোধে আমরা এক সপ্তাহের বিশেষ একটি ক্র্যাশ প্রোগ্রাম নিয়ে আপনাদের হাতে চিঠি পৌঁছে দেব।

রাজউক চেয়ারম্যান এম বজলুল করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সদস্য (উন্নয়ন) মো. আব্দুর রহমান, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ ও সম্পত্তি) মো. আসমাউল হোসেন, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) মো. ফারুক হোসেন, পূর্বাচল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আব্দুল আউয়াল, পূর্বাচল প্রকল্পের সম্পত্তি শাখার পরিচালক শেখ শাহীনুল ইসলামসহ মূল অধিবাসী ও তাদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এমএসএস/আরএস/এমএস