মধ্যপ্রাচ্যের তেল সমৃদ্ধ দেশ কাতার। পারস্য উপসাগরের তীরের এই দেশটিতে বর্তমানে কর্মরত আছেন তিন লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি। এদের অনেকেই ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন খাতে সুনামের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন দেশটিতে।
Advertisement
এমনই একজন মো. মানিক হোসেন (৪০)। বাবার নাম মরহুম মফিজুর রহমান মেম্বার। বাড়ি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বিপকাঠালী গ্রামে। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। স্ত্রী, দুই মেয়ে আর একমাত্র ছেলেকে নিয়ে থাকেন কাতারে।
পরিবারের অভাব দূর করতে মানিক হোসেন শ্রমিকের চাকরি নিয়ে ২০০০ সালে দেশটিতে শুরু করেন প্রবাসী জীবন। ২০০৫ সালে কোম্পানি থেকে রিলিজ নিয়ে কঠোর পরিশ্রম আর মেধা দিয়ে একে একে গড়ে তোলেন অনেকগুলো কোম্পানি। সেই থেকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।
নিজ জন্মস্থান ফরিদগঞ্জের মানুষকেও কাতারে এনে স্বাবলম্বী করেছেন মানিক হোসেন। ভাই, ভাতিজা, ভাগ্নে, শ্যালকসহ পরিবার ও তার এলাকার ২০০ সদস্য বর্তমানে কাতারে রয়েছেন।
Advertisement
তার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এখন বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের প্রায় এক হাজার শ্রমিক চাকরি করছেন।
কাতারস্থ বাংলাদেশ কমিউনিটিতে এখন অতি পরিচিত মুখ মানিক হোসেন। সফল এই ব্যবসায়ী বর্তমানে কাতারে চাঁদপুর সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
মানিক হোসেন বলেন, কাতারে বাংলাদেশিদের ব্যবসায়িক সাফল্যের জন্য পরিশ্রম করতে হবে। এখানে অর্থ অপচয়ের প্রচুর জায়গা রয়েছে সেখান থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে, কাজকে প্রাধান্য দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, আমরা এখানে অর্থ উপার্জন করতে এসেছি।
তিনি আরও বলেন, নিজের ভাগ্য নিজেই পরিবর্তনের চেষ্টা করতে হবে। অন্য কেউ বদলে দিতে পারবে না।
Advertisement
তিনি আপসোস করে বলেন, কাতারে তিন লাখ ৭০ হাজার বাংলাদেশি অবস্থান করলেও নিজেদের মধ্যে ঐক্যের অভাব রয়েছে। নেই কোনো শক্তিশালী কমিউনিটি, যারা দায়িত্ব নিয়ে ঐক্য গড়ে তুলবেন। কাতারে জাতিগত বা ব্যক্তিগত মর্যাদা কোনোটাই বাড়াতে পারেনি আমরা।
এমএমজেড/এআরএস/এমএস