শত ব্যস্ততার মাঝে ঘুরতে যাওয়ার সুযোগ হয়ে ওঠে কমই। তবুও ঘুরতে ইচ্ছে হয় সবারই। তাই একদিনে ঘোরাঘুরির জন্য নরসিংদী জেলা চমৎকার একটি জায়গা। অল্প সময়ে অনেক জায়গা দেখতে পারবেন এখানে। সুযোগ হলে ঘুরে আসুন পুরনো জমিদার বাড়িসহ বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান থেকে।
Advertisement
বালাপুর জমিদার বাড়িনরসিংদী সদর উপজেলার পাইকারচর ইউনিয়নের মেঘনা নদীর তীর ঘেঁষেই বালাপুরের জমিদার কালীমোহন সাহার বাড়িটি অবস্থিত। প্রায় ৩২০ বিঘা জমির ওপর নির্মিত ১০৩ কক্ষবিশিষ্ট ভবনটির পূর্বদিকে তিনতলা, উত্তরদিকে একতলা, দক্ষিণে দোতলা এবং পশ্চিমদিকে একটি বিশাল আকারের গেটসহ দোতলা ভবন রয়েছে।
ভবনের প্রতিটি কক্ষেই মোজাইক, টাইলস লাগানো ও কারুকার্য খচিত দরজা-জানালা রয়েছে। পশ্চিমে রয়েছে একটি বিশাল পুকুর। উত্তরে বিশাল আকারে দুর্গাপূজা মণ্ডপ। অতিথিদের থাকা-খাওয়া ও ঘুমানোর জন্য রয়েছে ভবন। প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে মেঘনা নদীর তীরে কারুকার্য খচিত একতলা একটি বিশাল দালান ছিল।এক সময় এ বাড়িতে এলাকার বিচারের জন্য জাঁকজমক বৈঠকখানা ছিল। বৈঠকখানার পাশেই ছিল পূজার ঘর। সকাল-সন্ধ্যা সেখানে বাজতো শাখ। নর্তকীদের নূপুরের নিক্কন ধ্বনিতে মুখর হতো জলসাঘর। জমিদার বাড়ির নারীরা দলবেঁধে পুকুরে স্নান করে এসে পূজায় বসতো। তবে দেশ বিভাগের পর ১৯৪৭ সালে জমিদার কালীবাবু সপরিবারে ভারতের কলকাতা চলে যান। স্টিমার ঘাটভারতের কলকাতা থেকে স্টিমার এসে এখানে মালামাল খালাস করতো। রাতে জমিদার বাবু ঘোড়া দৌড়িয়ে স্টিমার ঘাটে এসে প্রমোদবালাদের নিয়ে ভোগবিলাসে মেতে থাকতো।গিরিশ চন্দ্র সেনের বাড়িতাকে সবাই ‘ভাই গিরিশ চন্দ্র সেন’ নামে চেনে। তিনি ইসলাম ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআনের প্রথম বাংলা অনুবাদক। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে ভাই গিরিশ চন্দ্র সেনকে তুলে ধরতে বাড়িটি সংরক্ষণ ও জাদুঘর নির্মাণ বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।অন্যান্য স্থাননরসিংদীতে গেলে ঘোড়াশাল সার কারখানা এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ঘুরে আসা যায়।নৌকা ভ্রমণনরসিংদী ঘুরতে গেলে শীতলক্ষা নদীতে নৌকা দিয়ে ঘুরতে পারবেন। শীতলক্ষা নদী গাজীপুর এবং নরসিংদী জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত। এই নদীর পশ্চিম পাশে গাজীপুর জেলা এবং পূর্ব পাড়ে নরসিংদী জেলা অবস্থিত। ঘণ্টা হিসেবে ভাড়া নিয়ে নৌকা ভ্রমণ করতে পারবেন।কীভাবে যাবেনগুলিস্থান থেকে সোজা নরসিংদীর বাসে উঠে যাওয়া যায়। ভাড়া আশি বা নব্বই টাকা। বাস থেকে মাধবদি নেমে সিএনজি ভাড়া করে বালাপুর জমিদার বাড়ি যাবেন। এছাড়া বিশ্বরোড থেকে প্রথমে গাউছিয়া পর্যন্ত এক বাসে, এরপর সেখান থেকে পাঁচদোনা পর্যন্ত আরেকটি বাস- এভাবে গেলে আপনার সময় এবং শক্তি দু’টোই বাঁচবে।এসইউ/আরআইপি
Advertisement