সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় আরও একজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে দুইজন বাংলাদেশি নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। একজন পটুয়াখালী জেলার মুহাম্মদ সোবহান মিরধার ছেলে সারোওয়ার মিরধা (৩১), অন্যজন বগুড়া জেলার আনিসুরের ছেলে মুহাম্মদ আবু তাহের আনসারি (৩৩)।
Advertisement
আহত বাংলাদেশি আবু বকর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
দুবাই ও উত্তর আমিরাত বাংলাদেশ কনস্যুলেটের প্রথম সচিব (শ্রম) একেএম মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দুবাইয়ে নিযুক্ত কনস্যুলেটের কর্মকর্তারা রশিদ হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন। আহত পাঁচ বাংলাদেশির মধ্যে দু’জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া অপর তিন বাংলাদেশি দুবাইয়ের নিউ মেডিক্যাল সেন্টার (এনএমসি) হাসপাতাল ও আল-জাহরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আহত বাংলাদেশিদের অবস্থা স্থিতিশীল। শিগগিরই তাদেরকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হবে।
Advertisement
নিহত দুই বাংলাদেশির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দুবাই পুলিশ ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে রাখা হয়েছে। আহত তিন বাংলাদেশির চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলে কনস্যুলেট জেনারেল জানিয়েছেন।
আহত বাংলাদেশিরা হলেন, আবুবকর সিদ্দিক (রাজশাহী), তিনি দুবাইয়ের এনএমসি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সামির আলী (যশোর), তিনি আল জহরা হাসপাতালে আছেন, শাহজাহান (যশোর), জাসিম উদ্দিন (বরিশাল) ও আব্দুল বারিক (যশোর)।
এদিকে কনস্যুলেটের লেবার কাউন্সিলর এএসএম জাকির হোসেন জাগো নিউজকে জানান, হতাহতদের খবর নেয়ার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে কনস্যুলেট কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে। নিহত শ্রমিকদের নিয়োগকির্তার কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ, ইন্সুরেন্স ও অন্যান্য পাওনা আদায়ে কনস্যুলেট জেনারেল কাজ করছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিহত দুই বাংলাদেশির মরদেহ শিগগিরই দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
আহত বাংলাদেশি সামির আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
Advertisement
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২৩ মে) সকাল ৮টায় মোহাম্মদ বিন জায়েদ রোড ও শেখ জায়েদ রোডের মাঝামাঝি আল ইয়ায়েস স্ট্রিটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে প্রথমে সাতজন নিহত হন। আহত হন ৩৫ জন। আহতদের মধ্যে পরে একজন বাংলাদেশি হাসপাতালে নিহত হন। এখন নিহতের সংখ্যা মোট আটজন। আহত শ্রমিকদের দুবাই রশিদ হাসপাতাল, আল জহরা হাসপাতাল ও দুবাই ইন্টারন্যাশনাল পার্কের (ডিআইপি) নিউ মেডিকেল সেন্টার (এনএমসি) হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
বাসটিতে চালকসহ ৪১ যাত্রী ছিলেন। দুবাই পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের মহাপরির্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইফ মুহাইর আল মাজরোই বলেন, বাসের টায়ার বিস্ফোরণের কারণে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জেডএ/এএইচ/জেআইএম