আন্তর্জাতিক

মেয়ে হওয়াটাই অপরাধ তিন বছরের ছোট্ট মৌসুমীর

মেয়ে হওয়ার পর থেকেই বাড়িতে অশান্তি। মানসিক অবসাদে ভুগতে ভুগতে তিন বছরের শিশু মৌসুমীকে কারণে অকারণে পেটাত তার বাবা রঘুনাথ সিংহ। স্ত্রীকে তিনি প্রায়ই বলতেন, ‘টানাটানির সংসারে ছেলে হলে রোজগার বাড়ত। মেয়ের বিয়ে দিতে অনেক টাকা লাগবে। এর থেকে ওকে গলা টিপে মেরে ফেললেই ভালো হত।’

Advertisement

মুখে এমন কথা বললেও সত্যিই যে বাবা হয়ে নিজের মেয়েকে গলা টিপে হত্যা করবেন এমনটা ভাবেনি কেউ। শনিবার বিকেলে কাজের জন্য বাড়ির বাইরে গিয়েছিলেন মৌসুমীর মা। ফিরে এসে দেখেন মেঝেতে পড়ে রয়েছে মৌসুমী। কী হয়েছে জানতে চাইলে তার স্বামী জানান, মেয়ে কীটনাশক খেয়েছে। তখনই মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন মা। সঙ্গে যায় রঘুনাথও।

অচেতন অবস্থায় ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় শিশুটিকে। তখন তার নরম গলায় দগদগে আঙুলের ছাপ স্পষ্ট ছিল। হাসপাতালে নেয়ার একটু পরেই চিকিৎসকরা শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। সে সময় রঘুনাথের কথায় তাদের সন্দেহ হয়। সে জানিয়েছিল তার মেয়ে কীটনাশক খেয়ে ফেলেছে। কিন্তু শিশুটির গলার দাগ দেখে সন্দেহ হওয়ায় রঘুনাথকে আটকে রেখে পুলিশ ডাকেন চিকিৎসকরা। রাতের দিকে পুলিশি জেরার মুখে রঘুনাথ স্বীকার করেন মেয়ে হয়ে জন্মেছিল বলেই মৌসুমীকে মেরে ফেলেছে সে।

শনিবার রাতেই বেলিয়াবেড়া থানায় রঘুনাথের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তার স্ত্রী। ঝাড়গ্রামের এসপি অভিষেক গুপ্ত জানান, খুন ও তথ্য-প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে মামলা হয়েছে রঘুনাথের বিরুদ্ধে।

Advertisement

টিটিএন/জেআইএম