বন্দর নগরী চট্টগ্রাম থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত বাংলাদেশ নেভাল একাডেমি। নৌবাহিনীর শিক্ষানবিশ ক্যাডেটদের শিক্ষা দান ও মৌলিক প্রশিক্ষণের জন্য প্রতিষ্ঠিত একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান। সুবজে ঢাকা এই একাডেমির ও পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে নেভাল সমুদ্র সৈকত। বাংলার অপরূপ সৌন্দর্য যেন আছড়ে পড়ছে।
Advertisement
সৌন্দর্যে অপরূপ হলেও ইচ্ছা করলেই সাধারণ জনগণের প্রবেশের অনুমতি নেই। বিশেষ ক্ষেত্রে নৌবাহিনীর অনুমতি মিললে তবেই প্রবেশ করতে পারবেন সাধারণ মানুষ। তবে ভেতরে প্রবেশ করতে না পারলেও পাশেই পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত। সেখানে দাঁড়িয়ে নেভেল সমুদ্র সৈকতের অপরূপ দৃশ্য দেখা যায়।
নেভাল সমুদ্র সৈকতটি মূলত নৌবাহিনীর প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়। সেখান থেকে সমুদ্রের বুকে শত শত জাহাজের দৃশ্য চোখে পড়ে। নৌবাহিনীর অধীনে পরিচালিত হওয়ায় এটি যেমন নিরাপদ তেমনি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সাজানো। ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে এই সৈকতটি ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
বর্তমানে সমুদ্র সৈকতে সিমেন্ট দিয়ে তৈরি করা বেড়িবাঁধ দেয়া হয়েছে। আর সেই বাধের উপর লাগানো হয়েছে ঘাস। সমান করে ছাটা ঘাস যেন সবুজ কার্পেট। পাশেই পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত। যা কর্ণফুলী নদীর মোহনায় অবস্থিত। দুটি সৈকতের মধ্যে মাত্র কাঁটাতারের বেড়া দূরত্ব। ফলে পতেঙ্গা থেকেও সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় নেভাল সৈকতের।
Advertisement
পতেঙ্গা সৈকতে ভ্রমণ পিপাসুদের আনা-গোনা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। ফলে সংস্কার করা হয়েছে রাস্তাঘাট। জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। সমুদ্র সৈকতের ঝাউবনের ছায়াতলে রয়েছে খাবারের দোকানসহ হরেক রকম পণ্যের দোকান-পাট। সৈকতে বাতির আলোয় রাতে ভ্রমণকারী পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে।
পতেঙ্গা সৈকতের প্রস্থ খুব বেশি না হওয়ার সমুদ্রে সাঁতার কাটা ঝুঁকিপূর্ণ। এ ছাড়া জোয়ারের সময় অনেকটা উত্তাল হয়ে ওঠে। সমুদ্র সৈকতজুড়ে ভাঙন ঠেকাতে কংক্রিটের দেয়াল এবং বড় পাথরের খণ্ড দিয়ে বাধ তৈরি করা হয়েছে।
পতেঙ্গা বা নেভাল সমুদ্র সৈকতে যেতে হলে প্রথমে চট্টগ্রাম যেতে হবে। সেখান থেকে বাস, সিএনজি বা হিউমেন হলার দিয়ে যাওয়া যাবে পতেঙ্গা বা নেভাল সমুদ্র সৈকতে।
এইচএস/আরএস/আরআইপি
Advertisement