মারাত্মক শ্রমিক সংকটে ভুগছে জাপান। ২০২০ সালে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক ও প্যারা অলিম্পিকের আয়োজক দেশ হওয়ায় বিপুলসংখ্যক নির্মাণ শ্রমিকের প্রয়োজন পড়েছে দেশটিতে। এরই মধ্যে দেশীয় জনশক্তি এ খাতে লাগিয়েও প্রয়োজনের চেয়ে ৬০ লাখ কম শ্রমিক রয়েছে জাপানে। ফলে সংকট নিরসনে রোবটকে কাজে লাগানোর চিন্তা করছে দেশটির ক্ষুদ্র ও মাঝারি ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলো। এছাড়া প্রতিষ্ঠানগুলো অন্যান্য সরঞ্জাম কেনারও পরিকল্পনা করছে।
Advertisement
তবে রোবট তৈরির সঠিক পরিসংখ্যান জানানো হয়নি। রোবট তৈরির প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে, বিক্রির সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি বেশি সংখ্যক অর্ডার পাচ্ছেন তারা।
সরকারিভাবে জানানো হয়েছে, এ খাতের উন্নতির জন্য বিশাল বাজেট বিনোয়োগ হচ্ছে। রোবট তৈরির প্রতিষ্ঠানগুলোরও জানুয়ারি থেকে মার্চে বহুগুণে আয় বেড়েছে।
অর্থনীতি, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের শিল্প পলিসি ব্যুরোর (এমইটিআই) পরিচালক সেইচিরো ইনোউই বলেন, শ্রমিক ঘাটতির কারণে প্রতিষ্ঠানের কাজ ঠিকভাবে পরিচালনার জন্য পুঁজি ভিন্নখাতে ব্যয় করতে হচ্ছে।
Advertisement
বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক থাকলে শ্রমিক সংকট কাটিয়ে দেশটির নিম্ন উৎপাদনশীলতা বাড়ানো সম্ভব। এতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বিকাশ ঘটতে পারে।
চলতি অর্থবছরে বিনিয়োগের পরিমাণ আরও বাড়ার প্রত্যাশা রয়েছে সরকারের। এমনটাই জানালেন সেইচিরো।
জাপানে ৯০ শতাংশেরও বেশি কোম্পানি ছোট এবং মাঝারি আকারের, কিন্তু বেশিরভাগ কোম্পানিই রোবট ব্যবহার করছে না। কাউয়াসাকি ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠানের রোবট বিভাগে কর্মরত ইয়াসুহিকো হাশিমোটো বলেন, আমরা অনেক অাবেদন পাচ্ছি এবং ওইসব প্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করে পণ্যের প্যাকেজ নিয়ে আসছি।
হাশিমোটো আরও জানান, ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি উচ্চতার রোবটের চাহিদা বেশি। এ ধরনের রোবট বেশি বিক্রি হওয়ারও দাবি করেন তিনি। কারণ ওই রোবটগুলো কারখানা থেকে শুরু করে ইলেকট্রনিক যন্ত্র তৈরি, খাবার তৈরি এবং ঔষধ তৈরির কারখানায় কাজ করার উপযোগী।
Advertisement
হিতাসি কন্সট্রাকশন মেশিনারীজের ওশি ফারিনো জানান, চলতি অর্থবছরে অনেক বেশি প্রতিষ্ঠান রোবটের অর্ডার দিচ্ছে। সে কারণে আমরাও অর্থ বছরের দ্বিতীয় পর্যায়ে এসে প্রকল্পের কাজ বাড়াতে চাই। তবে শ্রমিক সংকটের মধ্যেও ছোটো প্রতিষ্ঠানগুলো শ্রমিকদের অধিক মজুরি দিয়ে কাজ করিয়ে নিচ্ছে।
কেএ/টিটিএন/জেআইএম