৫৭০ কোটি ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ, জাপান ও সিঙ্গাপুরের চারটি প্রতিষ্ঠান এ কাজের পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছে।
Advertisement
সচিবালয়ে রোববার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়।বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আজকের বৈঠকে ছয়টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছিল, সবগুলোরই অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অবকাঠামোসহ শাহজালাল বিমানবন্দরে নতুন রানওয়ে, প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল, টানেলযুক্ত মাল্টি লেভেল কার পার্কিং, নতুন কার্গো কমপ্লেক্স, ভিভিআইপি কমপ্লেক্স নির্মাণসহ রেসকিউ অ্যান্ড ফায়ার ফাইটিং সুবিধাকে চাহিদা ও সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আরও ঢেলে সাজানো হবে।
এ লক্ষ্যে ৫৭০ কোটি ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ডিজাইনসহ সার্বিক মূল্যায়নে পরামর্শক হিসেবে দেশি-বিদেশি ৪ প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। পরামর্শক প্রতিষ্ঠানগুলো হলো জাপানের নিপ্পন কোয়েই কোম্পানি ও ওরিয়েন্টাল কনসালট্যান্টস কোম্পানি লিমিটেড, সিঙ্গাপুরের সিপিবি কনসালট্যান্টস প্রাইভেট কোম্পানি লিমিটেড এবং বাংলাদেশের ডেভেলপমেন্ট ডিজাইন কনসালটেন্ট।
Advertisement
তিনি বলেন, একই বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ কোস্টগার্ড অধিদফতরের জন্য দুটি পেট্রোলচালিত জলযান কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ১৫৯ কোটি ৮০ লাখ টাকায় এ জলযান দুটি খুলনার ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কার্স লিমিটেডের কাছ থেকে কেনা হবে।
এছাড়া তিনি জানান, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে বাস্তবায়নাধীন একটি প্রকল্পের ব্যয় বেড়েছে ৩৩ কোটি ৬৮ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। এ সংক্রান্ত প্রস্তাবও কমিটি অনুমোদন দিয়েছে।প্রকল্পটির পূর্বের চুক্তিমূল্য ছিল ৬৯ কোটি ৪৮ লাখ ১৪ হাজার টাকা। এখন তা বেড়ে হবে ১০৩ কোটি ১৬ লাখ ৮২ হাজার টাকা। বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স-ইয়াংজু এ প্রকল্পের কাজ করছে।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ সরকার ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় ‘প্রজেক্ট ডিজাইন অ্যাডভান্স (পিডিএ) ফর সিটি রিজিওন ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রজেক্ট’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় প্রস্তুতি, নকশা প্রণয়ন ও তদারকি প্রতিষ্ঠান নিয়োগের প্রস্তাবও অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। বাংলাদেশ ও সুইডেনের ছয়টি প্রতিষ্ঠান এ কাজ পেয়েছে। এতে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৬ কোটি ৪ লাখ ১১ হাজার টাকা।
এছাড়া ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সেকশনে বিদ্যমান মিটারগেজ রেললাইনের সমান্তরালে ডুয়েলগেজ রেললাইন, বাঁধ, সেতু, রেলস্টেশন, প্ল্যাটফর্ম ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক নির্মাণ কাজের একটি প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিটি।
Advertisement
চীনা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশন অব চায়না লিমিটেড ২৬৩ কোটি ৬৪ লাখ ৯ হাজার টাকায় এ কাজ পেয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের রেলওয়ের একটি প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে একই কমিটি।
এর আগে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে কুমার নদ, মরা কুমার নদ, মান্দার তলা খাল ও পাকা ঘাট নির্মাণের জন্য রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়।
এমইউএইচ/এমএমজেড/ওআর/আরআইপি