জাতীয়

প্রধান বিচারপতি কীভাবে বলেন আইনের শাসন নেই : শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান বিচারপতির উদ্দেশ্যে বলেছেন, তিনি কীভাবে বললেন দেশে আইনের শাসন নেই। বিচার বিভাগ যে স্বাধীন তার একটাই তো প্রমাণ আছে। একজন নেত্রীর (খালেদা জিয়া) একটা মামলায় যদি ১৪০ দিন সময় দেয়া হয়। বিচার বিভাগ স্বাধীন বলেই তো এতোদিন সময় দেয়া হয়েছে।

Advertisement

সোমবার জাতীয় সংসদের ১৫তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা আছে বলেই তো এই সময়টা দেয়া হয়েছে। না হলে তো দিতে পারত না। আমাদের ওই ধরনের মানসিকতা থাকত তাহলে নিশ্চই দিতে পারত না। আমরা তো সেটা করেনি। ইচ্ছামতো সময় দিয়ে যাচ্ছেন... দিয়েই যাচ্ছেন। কাজেই বিচার বিভাগ যে স্বাধীন এই একটা উদাহরণই যথেষ্ট।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সম্পর্কে তিনি বলেন, অ্যামিনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে এই দেশে বাক স্বাধীনতা নেই। আমাদের এখানে ৭৫০টি পত্রিকা, ৩৪টি টিভি রয়েছে। যারা রিপোর্টটি করেছে তাদেরকে বলব, এই টিভিতে বসে বসে দিনরাত আমাদের বিরুদ্ধে সমানে কথা বলা হচ্ছে। টক শো, আলোচনায় একেবারে স্বাধীনভাবে কথা বলছে। আমাদের সমালোচনা যখন করা হয় কই কেউ কি তাদের গিয়ে গলা টিপে ধরেছে যে একথা বলা যাবে না।

Advertisement

শেখ হাসিনা বলেন, সংবাদপত্র লিখেই যাচ্ছে, হ্যাঁ কেউ যদি হলুদ সাংবাদিকতা করে, মিথ্যা অসত্য তথ্য দেয়, কারও যদি চরিত্র হনন করে নিশ্চয় তারও অধিকার আছে যে সেখান থেকে নিজের উপর মিথ্যা দোষারোপ থেকে রক্ষা পাবার। সেটা নেবার অধিকার সবারই আছে। এখানে একেবারে স্বাধীনতা নেই এটা যারা বলেন...এখানে আমাদের দেশে কিছু লোক আছে, এই লোকগুলো একসময় মনে করতো একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি এলে তাদের মূল্য বাড়বে, তারা একটা পতাকা পেতে পারেন, তারা একটা কিছু হতে পারেন। বা তাদের একটু তোষামোদি, খোশামোদি করা হবে। তাদের মূল্যটাও একটু বেশি থাকে। আর গণতান্ত্রিক পরিবেশে তাদের সুযোগটা কম থাকে। তাদের স্বাদ আছে ক্ষমতায় আসার, কিন্তু জনগণের কাছে ভোট চাওয়ার সাধ্য নেই। অনেকে চেষ্টাও করেছে  দল গঠনের সাড়া পায়নি মানুষের কাছ থেকে। এটা যদি জনগণ সাড়া না দেয় তার দোষ কার। এরাই নানা কথা বলে বেড়াচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘কোনো সংসদ সদস্য বা সাধারণ ব্যক্তি যদি মানহানীর মামলা করে এটার দোষ কীভাবে হয়। সে যদি অপরাধ না করে তাহলে মামলা মোকাবেলা করলেই সত্য বেরিয়ে আসবে। সেটাতো করতে পারবে না, কারণ হলুদ সাংবাদিকতা করে ফেলেছে।’

এইচএস/জেডএ/বিএ

Advertisement