বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) বিল-২০১৭ সংশোধিত আকারে পাস হয়েছে। সোমবার সংসদের অধিবেশনে বিলটি পাস হয়। বিলে জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম ও সেলিম উদ্দিনের ২টি সংশোধনী গ্রহণ করা হয়। অন্য প্রস্তাবগুলো কণ্ঠ ভোটে নাকচ হয়ে যায়।
Advertisement
বিলে বিদ্যমান বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট অধ্যাদেশ রহিত করার বিধান করা হয়েছে।এই অধ্যাদেশের অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এমনভাবে বহাল রাখার বিধান করা হয়, যাতে তা বিলের বিধান অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
ইনস্টিটিউটের কার্যালয় ও কেন্দ্র, ইনস্টিটিউটের কার্যাবলী, কাউন্সিল থেকে দেয়া নির্দেশনা প্রতিফলনসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধান করা হয়েছে।
এছাড়া বিলে বারিকে পরিচালক নিয়োগ, কর্মচারী নিয়োগ, তহবিল গঠন, বাজেট প্রণয়ন, ঋণ গ্রহণের ক্ষমতা, চুক্তি সম্পাদন, বৈদেশিক প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা, বিধি-প্রবিধি প্রণয়নের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
Advertisement
ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল উত্থাপন
ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি, উন্নত ও উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবনসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গবেষণা পরিচালনায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন ১৯৭৩ রহিত করে সংশোধনসহ পুনঃপ্রণয়নের প্রস্তাব করে জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল-২০১৭’ উত্থাপন করা হয়। কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বিলটি উত্থাপন করেন।
বিলে এ সংক্রান্ত বিদ্যমান আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এমনভাবে বহাল রাখার প্রস্তাব করা হয়, যাতে এ বিলে বিধানের অধীনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
এতে একজন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের বোর্ড গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া বিলে ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক নিয়োগ, পরিচালক, উপদেষ্টা ও পরামর্শক নিয়োগ, কর্মচারী নিয়োগ, তহবিল, বাজেট, হিসাব রক্ষণ ও নিরীক্ষা, কমিটি গঠন, ঋণ গ্রহণের ক্ষমতা, প্রতিবেদন পেশ, চুক্তি সম্পাদন, বৈদেশিক প্রশিক্ষণ ও উচ্চ শিক্ষা, গবেষক বা প্রযুক্তিবিদ নিয়োগ, ফেলোশিপ প্রদান, জনসেবক, বিধি-প্রবিধি প্রণয়নের ক্ষমতাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে।
Advertisement
এইচএস/এমএমএ/আরআইপি