মাংস ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে বেশ কিছু দাবি আদায়ে আন্দোলন করে আসছেন। দাবি পূরণে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনার করতে চেয়েও ব্যর্থ হয়ে এবার সময় বেধে দিলেন তারা। একই সঙ্গে বেধে দেয়া আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আলোচনায় না বসলে পহেলা রমজান থেকে কর্মবিরতি পালন করার হুমকি দিয়েছেন মাংস ব্যবসায়ীরা।
Advertisement
রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ হুমকি দেয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘কয়েকটি ইস্যুতে আলোচনা করতে আমরা গত ১৫ এপ্রিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের দুই
মেয়রকে চিঠি দিয়েছি। আমরা কিছু বিষয়ে সমাধান চাই। যেটা হলে আরও কম দামে মাংস বিক্রি করতে পারব। আমাদের যেসব সমস্যা রয়েছে তা দেশের জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় প্রকাশ্যে বলা সম্ভব নয়।’
Advertisement
রবিউল ইসলাম বলেন, দাম বেশি হওয়ায় মানুষ এখন মাংস কেনা কমিয়ে দিয়েছেন। ফলে রাজধানীতে প্রায় ৬০ শতাংশ মাংসের দোকান ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। ঢাকায় প্রায় ৫ হাজার মাংসের দোকান ছিল। এছাড়া সারাদেশে মাংসের দোকানের সংখ্যা প্রায় এক লাখ।
যেসব দাবি নিয়ে তারা আলোচনায় করতে চান সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইজারাদারদের শর্ত মেনে হাট পরিচালনার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন, মাংসের দাম ক্রয়সীমার মধ্যে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, নির্দিষ্ট স্থানে জবাইখানা নির্মাণ এবং ট্যানারি বন্ধ নয়স্থানান্তর ইত্যাদি।
মাংস ব্যবসায়ী নেতারা জানান, বর্তমানে ট্যানারি বন্ধ হওয়ায় চামড়া বিক্রি হচ্ছে না। বিভিন্ন বাজারে নির্দিষ্ট জবাইখানা না থাকায় যত্রতত্র গরু-ছাগল জবাই করা হচ্ছে। ফলে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়া গরুর হাটে নানা ধরনের অনিয়ম বন্ধ না হওয়ায় কম দামে মাংস বিক্রি করা যাচ্ছে না। ক্রেতারাও বেশি দামে মাংস কেনা কমিয়ে দিয়েছেন। এ অবস্থায় লোকসানে পড়ে অনেক দোকানই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এ জন্যই তারা সরকারের সঙ্গে বসতে চান।
উল্লেখ্য, এর আগে অতিরিক্ত খাজনা আদায় ও চাঁদাবাজি বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাংস বিক্রি বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করেন মাংস ব্যবসায়ীরা। পরে সরকারের আশ্বাসে তা স্থগিত করা হয়। তবে ধর্মঘটের সুযোগে গরু ও ছাগলের মাংসের দাম বাড়িয়ে দেন তারা। তার আগেও ৬ দিনের ধর্মঘট করে সারাদেশে মাংসের দাম বাড়ান ব্যবসায়ীরা।
Advertisement
এসআই/আরএস/এমএস