দুই দশকের মধ্যে দেশব্যাপী প্রথম হরতালে ব্যাপক সহিংতা হয়েছে ব্রাজিলে। রিও ডি জেনিরোর সিটি সেন্টারে বাস ও কারে আগুন দেয়া হয়েছে। সড়ক অবরোধ করে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, ভাঙচুর করা হয়েছে দোকানপাট।
Advertisement
হরতালের সময়টাতে মানুষজন বাইরে বের হয়েছে কম। দোকান-পাট, স্কুল ও ব্যাংকও ছিল বন্ধ। এ হরতাল ব্যাপক সহিংসতা হলেও দিনের বেশিরভাগটা সময় তা শান্তিপূর্ণই ছিল।
সরকারের পেনশন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রতিবাদে শুক্রবার এ হরতালের ডাক দেয় শ্রমিক সংগঠনগুলো।
রিওতে ঘটে যাওয়ার ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছন দেশটির প্রেসিডেন্ট মিশেল তেমের। তবে তিনি এ কথাও বলেছেন, দেশের আধুনিকায়নের কাজ চালিয়ে যাবেন তিনি।
Advertisement
ব্রাজিলের ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ এই অবস্থা থেকে উত্তরণে শ্রমিক সংগঠন এবং সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।
শ্রমিক সংগঠনগুলো বলছে, পেনশন ব্যবস্থায় যে সংস্কার করা হয়েছে তার বোঝা বইতে হবে ব্রাজিলের সবচেয়ে দরিদ্র মানুষগুলোকে।
সংস্কার প্রস্তাবে অবসরের বয়সসীমা বাড়িয়ে কমিয়ে দেয়া হয়েছে সুযোগ-সুবিধা।
তবে সরকার বলছে, পেনশন ব্যবস্থায় ধস ঠেকাতে এ সংস্কার প্রয়োজন ছিল।
Advertisement
ধর্মঘটের প্রভাব সারাদেশে দেখা গেছে। অনেকে দিনভর বাড়িতেই ছিলেন, যারা কাজ করেছেন তারাও একবেলা কাজ সেরে বাড়ি ফিরেছেন।
সাউ পাউলো, রিওসহ অন্যান্য অনেক শহরে সড়ক অবরোধ করা হয়।
সন্ধ্যার দিকে বিক্ষোভকারীরা একটি সমাবেশ থেকে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। কাঁদুনে গ্যাস ছুড়ে পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করলে বিক্ষোভকারীরা পাথর ছুড়ে জবাব দেয়।
ব্রাজিল সরকার বলছে, তারা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবে না।
কেএ/এনএফ/এমএস