১৫তম মাইক্রোসফট ইমাজিন কাপ- ২০১৭ এর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের ফাইনালে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন বাংলাদেশি তিন তরুণ। আগামী ২৩ থেকে ২৬ এপ্রিল ফিলিপাইনে এটি অনুষ্ঠিত হবে।
Advertisement
‘টিম প্যারাসিটিকা’র ওই তিন তরুণ হলেন- বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম ও সৈয়দ নাকিব হোসেন এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বি।
টিম প্যারাসিটিকার দলনেতা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, এমন একটি প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারছি বলে আমরা গর্বিত। প্রতিযোগিতায় আমরা আমাদের সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টা করব যাতে দেশের এবং দেশের মানুষের মুখ উজ্জ্বল করতে পারি।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের ফাইনালে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী ২৩ থেকে ২৬ এপ্রিল ফিলিপাইনে এ অঞ্চলের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এতে আমাদের উদ্ভাবিত ‘ফাস্টনোসিস’ অ্যাপের কার্যক্রম উপস্থাপন করব। এ অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারী সহজেই পরজীবী রোগ যেমন- টিউবারকুলোসিস, ম্যালেরিয়া ইত্যাদি রোগের লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
Advertisement
বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, শ্রীলংকা, নেপাল ও লাওস থেকে মোট ১০টি দল ফিলিপাইনে এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। ফিলিপাইনে নির্বাচিত শীর্ষ সাতটি দল রেডমন্ডে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ার্ল্ড ফাইনাল পর্বে অংশগ্রহণ করবে।
ম্যানিলাতে ইমাজিন কাপ-২০১৭ এর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের ফাইনালে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে যাচ্ছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আসাদুল ইসলাম।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১০ মার্চের মধ্যে অনলাইনে ১৭টি দল নিজেদের প্রকল্প প্রস্তাব এবং প্রকল্পের ভিডিও প্রদর্শনের মাধ্যমে এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। যাচাই-বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে ২০ মার্চ পাঁচটি দলকে নির্বাচিত করা হয়। ওই পাঁচটি দল ৬ এপ্রিল নিজেদের প্রকল্পগুলো নিয়ে লড়াই করে। তাদের থেকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয় ‘টিম প্যারাসিটিকা’-কে।
ইমাজিন কাপ আয়োজন প্রসঙ্গে মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির বলেন, কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিশ্ব দরবারে প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দিতে ইমাজিন কাপ আয়োজন করে মাইক্রোসফট। যাতে এসব শিক্ষার্থী তাদের মেধা, দক্ষতা ও সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে ডিজিটাল সল্যুশনের মাধ্যমে আমাদের জীবনের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দিতে পারে।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ থেকে যেসকল শিক্ষার্থী এবারের প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন তাদের কাছ থেকে চমৎকার সব ধারণা এসেছে। আমরা আশাবাদি, দলটি ফিলিপাইনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
এ বছর বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশ থেকে প্রতিযোগিরা বিভিন্ন পর্বে প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। তাদের মধ্য থেকে শীর্ষ ৩০টি দল অংশ নেবে রেডমন্ডে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ার্ল্ড ফাইনাল পর্বে।
এমএআর/আরআইপি