‘আপনি ফেসবুকের সক্রিয় ব্যবহারকারী নাকি নিষ্ক্রিয়- তা যাচাই করার জন্য আমরা এই মেসেজটি পাঠাচ্ছি। আপনি যদি ফেসবুকে সক্রিয় হয়ে থাকেন, তাহলে সক্রিয়তার প্রমাণ দেয়ার জন্য মেসেজটি কপি করে আরো ২৫ জনকে পাঠান। দুইসপ্তাহের মধ্যে এই মেসেজটি ২৫ জনকে না পাঠালে বন্ধ হয়ে যাবে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট।’
Advertisement
ফেসবুকের সহ প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মার্ক জুকারবার্গের নাম উল্লেখ করে আসা এই মেসেজ দেশের অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারী পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
১৬৫ শব্দের এই মেসেজ মার্ক জুকারবার্গের নির্দেশ বলেও উল্লেখ রয়েছে। অনেকেই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হারানোর ভয়ে আরো ২৫ জনকে মেসেজটি কপি করে পাঠাচ্ছেন। মূলত এটি সম্পূর্ণ ভুয়া একটি তথ্য, যাকে বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য জাকারবার্গের নাম ব্যাবহার করা হচ্ছে।
সত্যিটা হলো ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এমন কোনো মেসেজ পাঠাচ্ছে না। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, ১৪ এপ্রিল থেকে ফেক (ভুয়া) আইডি নিধন শুরু করেছে ফেসবুক সিকিউরিটি টিম।
Advertisement
এ অভিযান চলবে আগামী ছয় মাস। ফেসবুক সিকিউরিটি টিমের এক পোস্টে বলা হয়েছে, ভুয়া অ্যাকাউন্ট ঠেকানোর কার্যকর উপায় এ ব্যবস্থা।
আর এই অভিযানকে কেন্দ্র করে অ্যাকাউন্ট হারানোর ভয় করছেন অনেকে। অনেকের রিয়েল (আসল) অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বাংলাদেশি ফেসবুক ব্যাবহারকারীরা।
আর তাদের এই আতঙ্ককে কাজে লাগিয়ে বোকা বানাচ্ছে স্প্যামাররা। কী ক্ষতি হতে পারে এই মেসেজ পাঠালে?
মেসেজেটিতে কোনো ভাইরাসের লিংক না দেয়া হলেও অন্যকে বিরক্ত করার উদ্দেশ্যেই এটি ফেসবুকে ছড়ানো হয়েছে। কিন্তু আপনি মেসেজটি বিশ্বাস করে ২৫ জনকে পাঠালে কেউ যদি আপনার অ্যাকাউন্টে স্প্যামার হিসেবে রিপোর্ট করে তাহলে আপনার প্রিয় অ্যাকাউন্টটিও ডিজেবল হয়ে যেতে পারে।
Advertisement
তাই, সতর্ক থাকুন এ ধরনের ভুয়া মেসেজ সম্পর্কে এবং এ ধরনের মেসেজ পেলে তা আরো ২৫জনকে পাঠিয়ে বিরক্ত করা থেকে বিরত থাকুন।
লেখক: তানজিম আল ফাহিম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও), এরিনা ওয়েব সিকিউরিটি, অ্যাডমিন, সাইবার ৭১
এআর/এমএমএ/এমএস