তামাক নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের অগ্রগতি আশাব্যঞ্জক। তবে এ অগ্রগতি স্থায়িত্বশীল ও টেকসই করতে ধারাবাহিক কর্মসূচি সম্বলিত সুনির্দিষ্ট জাতীয় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা জরুরি।
Advertisement
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এবং বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের যৌথ উদ্যোগে ‘খসড়া তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতি দ্রুত পাশ এবং বাস্তবায়নের দাবিতে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হোক’ শীর্ষক অবস্থান কর্মসূচিতে এ পরামর্শ তুলে ধরা হয়।
ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট’র প্রোগ্রাম ম্যানেজার সৈয়দা অনন্যা রহমানের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন জাতীয় যক্ষা নিরোধ সমিতি (নাটাব) সেক্রেটারি জেনারেল খায়রুদ্দিন আহমেদ মুকুল, এলআরবি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রাজিয়া সুলতানা, এইড ফাউন্ডেশনের সিনিয়র অ্যাডভোকেসি অফিসার কাজী মো. হাসিবুল হক, টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ সেল (টিসিআরসি)-এর গবেষণা সহকারি মহিউদ্দিন রাসেল, সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন এর বংশাল থানা সভাপতি কেমেলিয়া চৌধুরী প্রমুখ। কর্মসূচিটি সঞ্চালনা করেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট’র নেটওয়ার্ক কর্মকর্তা শুভ কর্মকার।
খায়রুদ্দিন আহমেদ মুকুল বলেন, বাংলাদেশে এর আগে সুনির্দিষ্ট জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (ন্যাশনাল স্ট্রাটেজিক প্ল্যান অব একশান ফর টোব্যাকো কন্ট্রোল ২০০৭-২০১০) বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। কিন্তু ২০১০ এর পর দেশে আর কোনো সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়নি। কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা না থাকায় সরকারি বিভিন্ন সংস্থা বিচ্ছিন্নভাবে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তাই বর্তমানে বিদ্যমান আইন বাস্তবায়নসহ তামাক নিয়ন্ত্রণের সার্বিক বিষয়বলিকে গুরুত্ব দিয়ে একটি কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা জরুরি।
Advertisement
সৈয়দা অনন্যা রহমান বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণে সুনির্দিষ্ট কোনো কর্মপরিকল্পনা না থাকায় তামাক কোম্পানিগুলোর অপচেষ্টা প্রতিহত করা সম্ভব হচ্ছে না। নীতিগত অগ্রগতি সত্ত্বেও এসব নীতি বাস্তবায়নসহ তামাক নিয়ন্ত্রণের অনেক ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ পিছিয়ে রয়েছে।
বক্তারা বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণের গুরুত্ব অনুধাবন করে এফসিটিসির বাস্তবায়নকে জাতিসংঘের ২০১৬-৩০ পর্যন্ত, ১৫ বছরের কর্মপরিকল্পনায় (সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস্-এসডিজি) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। হৃদরোগ, স্ট্রোক, এজমাসহ ফুসফুসের দীর্ঘমেয়াদী রোগ, বিভিন্ন রকম ক্যান্সার ও ডায়বেটিস ইত্যাদি অসংক্রামক রোগের জন্য প্রধানত দায়ী ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার। সর্বশেষ হিসাব মতে, পৃথিবীতে মোট মৃত্যুর ৬৩ শতাংশ অসংক্রামক রোগে মৃত্যুবরণ করছে। তাই অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিও এসডিজিতে অন্তর্ভুক্ত।
এমএ/জেএইচ/এমএস
Advertisement