নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের ফলে সিরামিক খাতে ৩৬ শতাংশ উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে বিদেশ থেকে আমদানি করা সিরামিক পণ্যের শুল্ক-কর ৬০ শতাংশ থেকে কমে ৪৫ শতাংশে নেমে আসবে। এতে দেশের সিরামিক শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের আগে সিরামিক খাতের সুরক্ষা নিশ্চিত করা উচিত।
Advertisement
সোমবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় সিরাসিক খাতের কর কাঠামোর প্রতিবন্ধকতা তুলে ধরে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এ কথা জানায়।
এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন বেভারেজ ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ও সিরামিক ওয়্যার ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। এছাড়া শুল্কনীতির সদস্য লুৎফর রহমান, আয়কর নীতির সদস্য পারভেজ ইকবাল ও ভ্যাট নীতির সদস্য ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেনসহ এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সিরামিক ওয়্যার ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মোল্লা বলেন, নতুন ভ্যাট আইন সংশোধনে আপত্তি নেই। তবে সিরামিক খাতে উৎপাদন পর্যায়ে সম্পূরক শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে ৪৫ শতাংশে গিয়ে পৌঁছবে। এর ফলে ৩৬ শতাংশ উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে বিদেশ থেকে আমদানি করা সিরামিক পণ্যের শুল্ক-কর ৬০ শতাংশ থেকে কমে ৪৫ শতাংশে নেমে আসবে। এতে দেশের সিরামিক শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, কিছু কিছু আমদানিকারক আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে সিরামিক পণ্য আমদানি করছে। এতে স্থানীয় উৎপাদকরা মার খাচ্ছেন। তাই সিরামিক পণ্য আমদানির ট্যারিফ ভ্যালু বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
মুন্নু সিরামিকের ভাইস চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলাম বলেন, চীনে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন মেলায় সিরামিক পণ্যে দর যাচাই করে দেখা গেছে, বাংলাদেশে চীনা পন্য কম দামে পণ্য আমদানি করা হচ্ছে। এতে স্থানীয় শিল্প প্রতিযোগিতায় টিকে থাকছে পারছে না। তাই শিল্পের স্বার্থে আন্ডার ইনভেসিং বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
সভাপতির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান বলেন, কর অব্যাহতির পরিমাণ হিসাব করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে শুধু কর আহরণের হিসাব দেয়া হবে না। এর সঙ্গে কোন খাতকে কী পরিমাণ কর অব্যাহতি সুবিধা দেয়া হয়েছে এবং এর সঙ্গে রাজস্বের সংশ্লেষ তুলে ধরা হবে। এগুলো একত্রে যোগ করলে দেখা যাবে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ছাড়িয়ে যাবে।
এমএ/এএইচ/এমএস
Advertisement