সেমিফাইনালে বাংলাদেশকে হারিয়ে ইমার্জিং কাপের ফাইনালের টিকিট পায় শ্রীলঙ্কা। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের লঙ্কানদের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। এশিয়ান ক্রিকেটের দুই পরাশক্তির মধ্যকার ফাইনাল ম্যাচ খুব একটা জমেনি; হয়েছে এক তরফা! পাকিস্তানকে ৫ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে ইমার্জিং কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শ্রীলঙ্কা।
Advertisement
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৪২.১ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রান তোলে পাকিস্তান। শিরোপা জয়ের জন্য লঙ্কানদের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ১৩৪ রানের। ২৩.৪ ওভারেই (১৫৭ বল হাতে রেখে) কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় শ্রীলঙ্কা। আর তাতে লঙ্কানরা মেতে ওঠে শিরোপা জয়ের উল্লাসে।
ছোট লক্ষ্য। তাতে কী? ফাইনাল ম্যাচ বলে কথা। সাবধানে পা ফেলেছে লঙ্কানরা। তাদের প্রথম উইকেটের পতন দলীয় ২৩ রানে। কিছুটা আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠা ফার্নান্দো সবার আগে সাজঘরে ফেরেন সামিন গুলের শিকার হয়ে। ফার্নান্দো করতে পেরেছেন ১৭ রান।
কিন্তু অপর ওপেনার সামারাবিক্রমা বিদায় নিয়েছেন দলকে জয়ের ভিত গড়ে দিয়ে। উসামা মিরের বলে সামিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ৪২ বলে ৮টি চারের সাহায্যে ৪৫ রানের মূল্যবান এক ইনিংস দলকে উপহার দিয়েছেন।
Advertisement
এরপর পাকিস্তানি বোলারদের তোপে দ্রুতই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা। একে একে বিদায় নিয়েছেন শিহান জয়সুরিয়া (৭), আসালাঙ্কা (৪) ও অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো পেরেরা (৮)। দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন হাসারাঙ্গা (২০*) ও ভিথানাগে (২২*)।
পাকিস্তানের পক্ষে দুটি উইকেট নেন সামিন গুল। একটি করে উইকেট নিয়েছেন গোলাম মোদাসসার, জাফর গহর ও উসামা মির।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই লঙ্কান বোলারদের তোপে পড়ে পাকিস্তান। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় মোহাম্মদ রিজওয়ানের দল। দলীয় ১২ রানের মাথায় ওপেনার ইমরান বাটকে (৫) হারিয়ে ফেলে তারা। আরেক ওপেনার হুসাইন তালাত ১০ রান করেই ফেরেন সাজঘরে।
পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন দলীয় অধিনায়ক রেজওয়ান। সমসংখ্যক রান আসে উসামা মিরের ব্যাট থেকে। হাম্মাদ আজম ৬১ বল খেলে করেছেন ২৫ রান। খুশদিল শাহ নামের পাশে যোগ করেন ২০ রান।
Advertisement
লঙ্কানদের সেরা বোলার শিহান জয়সুরিয়া। ৬ ওভারে ২২ রান দিয়ে ঝুড়িতে জমা করেন ৩ উইকেট। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন হাসারাঙ্গা ও চামিকা করুনারত্নে। একটি করে উইকেট নেন আসিথা ফার্নান্দো, আমিলা আপনসো ও সামারাকুন।
এনইউ/এমএস