মৌলভীবাজার পৌরসভার বড়হাটের জঙ্গি আস্তানায় আস্তানায় প্রচুর বিস্ফোরক রয়েছে। আর এর আশপাশে অনেক উঁচু ভবন রয়েছে। ফলে `অপারেশন ম্যাক্সিমাস` শেষ হতে সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।
Advertisement
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি। এসময় মনিরুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত সার্বিক পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এদিকে, জঙ্গি আস্তানার পার্শ্ববর্তী সিলেট-মৌলভীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে সোয়াট ও বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর কিছু সময় পর অভিযান শুরু হয়।এরপর থেকে ওই এলাকায় থেমে গুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে।
Advertisement
মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মো. শাহজালাল বড়হাট এলাকায় এসে সেখানে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ এবং স্থানীয়দের সরিয়ে দেওয়ার কাজ তদারকি করছেন।
ওই জঙ্গি আস্তানার আশপাশের এলাকায় গত বুধবার থেকেই ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। বন্ধ রয়েছে গ্যাস ও বিদ্যুৎ।
পুলিশ সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে তারা মৌলভীবাজার শহরের বড়হাট আবুশাহ দাখিল মাদরাসা গলিতে দোতলা বাড়িটি জঙ্গি আস্তানা হিসেবে শনাক্ত করে ঘিরে রাখে। ওই বাড়ি ঘিরে রাখার পরে সেখানকার তত্ত্বাবধায়কের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে বুধবার ভোরে শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে নাসিরপুর গ্রামের জঙ্গি আস্তানাটি শনাক্ত করা হয়।
প্রায় ৩৪ ঘণ্টা ঘিরে রাখার পর গতকাল বৃহস্পতিবার নাসিরপুরের জঙ্গি আস্তানায় ৭-৮টি মরদেহ দেখা গেছে বলে জানায় পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।
Advertisement
পুলিশের ধারণা, গত বুধবার বিকেলেই আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তারা নিহত হয়। তারা একই পরিবারের সদস্য।
গতকাল বিকেলে পুলিশের ‘অপারেশন হিট ব্যাক’ সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি বড়হাটের আস্তানাটি ঘিরেই রাখে পুলিশ।এফএ/এমএস