রাত তখন আনুমানিক ৯টা। রাজধানীর হাতিরঝিলে দর্শনার্থীর সংখ্যা কমে গেছে। দু-চারটি স্পট ছাড়া সর্বত্র শুনসান নীরবতা। ফাঁকা রাস্তায় দ্রুতগতিতে ছুটে চলছে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন। ঝিলের ধারে গল্প করছে কিছুসংখ্যক তরুণ-তরুণী।
Advertisement
রাতের নীরবতা ভেঙে ঝিলের পানিতে লাল-সবুজ বাতি জ্বালিয়ে ছুটে চলেছে ওয়াটার বোট। সামনে এগিয়ে যেতেই হঠাৎ গুলশান পুলিশ প্লাজার অদূরে বর্ণিল আলোতে আলোকিত হয়ে ওঠে ঝিল। কখনও লাল, কখনও নীল আবার কখনও সবুজ পানি আচড়ে পড়ছে ঝিলে। দেখে মনে হবে যেন বিভিন্ন রঙের পানি দুলে দুলে নৃত্য করছে। দর্শনার্থীরা বিস্ময়ে তাকিয়ে দারুণ দারুণ বলে উল্লাস করছিল।
রাজধানীর হাতিরঝিল ইতোমধ্যেই নগরবাসীর কাছে অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে সুপরিচিতি লাভ করেছে। কেউ বাসে ঝিলের চারপাশ ঘুরে কেউবা ওয়াটার বাসে আবার কেউবা হেঁটে চারপাশের সৌন্দর্য অবলোকন করেন। এছাড়া ভোজনরসিকদের জন্য রয়েছে আধুনিক মানের ফুড কোর্টও।
এদিকে হাতিরঝিলে নান্দনিক সৌন্দর্যে নতুন মাত্রা যোগ করেছে দ্বীপে স্থাপিত ওয়াটার ফাউন্টেন (পানির ফোয়ারা)। গত ২৬ মার্চ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে প্রতিদিন কিছু সময়ের জন্য ওয়াটার ফাউন্টেনটি চালু করা হয়। রাতের অন্ধকারে ঝিলে বর্ণিল আলো ও পানির নাচন দেখে বিমোহিত দর্শনার্থীরা।
Advertisement
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে দেখা যায়, অনেকেই প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাস রাস্তার পাশে পার্ক করে ‘ওয়াটার ড্যান্স’ দেখছেন। দর্শনার্থীদের অনেকের মতো, হাতিরঝিলের ওয়াটার ফাউন্টেনটি মালয়েশিয়ার টুইন টাওয়ার সংলগ্ন কেএলসি মার্কেটের ভেতরের ফাউন্টেনের মতো। যেখানে প্রতিদিন সন্ধ্যায় পর্যটকদের জন্য মিউজিকের তালে তালে পানির নৃত্য প্রদর্শিত হয়।
হাতিরঝিলে এমন নান্দনিক সৌন্দর্যের জন্য তত্ত্বাবধানকারী সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানান দর্শনার্থীরা।
এমইউ/আরএস/এমএস
Advertisement