জেএমবির সারোয়ার-তামিম গ্রুপের (নব্য জেএমবি) তিন সদস্যকে পাঁচ দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম আব্দুল্লাহ আল মাসুদ এ আদেশ দেন।
Advertisement
এর আগে বুধবার সন্ত্রাসবিরোধী আইনে বাড্ডা থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার মিজবাহ (১৯), তাইবুর রহমান (১৮) ও ফয়সাল আহমেদ সানিলের (১৯) বিরুদ্ধে ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন র্যাব কর্মকর্তা অতিরিক্তি পুলিশ সুপার সাজ্জাত হোসেন। আদালত শুনানি শেষে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রাজধানীর দোহার থেকে ‘জঙ্গি’ সন্দেহে চারজনকে আটক করে র্যাব। আটক চতুর্থজন মিজবাহের ছোট ভাই (অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তার নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না)।
র্যাব-১০ এর অধিনায়ক (সিও) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর সংবাদ সম্মেলন করে জানান, দোহার থেকে যে চারজনকে আটক করা হয়েছে তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতার পরিকল্পনা ছিল তাদের। এ জন্য তারা গত দেড় বছর ধরে একত্রে কাজ করছিল।
Advertisement
তারা আরো জানায়, এক বড় ভাইর মাধ্যমে ২০১৫ সালে নব্য জেএমবির সারোয়ার-তামিম গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কথিত জিহাদের প্রস্তুতি নিচ্ছিল তারা। মিজবাহ নবাবগঞ্জ সোনাহাজরা মাদরাসার শিক্ষার্থী। পাশাপাশি একটি মোবাইল সার্ভিসিং দোকানে মেকানিক হিসেবে কাজ করত। সে জেএমবির সশস্ত্র শাখার প্রয়োজনে বিভিন্ন প্রকার ইম্প্রোভাইজড ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস (আইইডি) তৈরি করতে শিখে। মেজবাহের প্ররোচনায় তার ছোট ভাইও জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে। সে কথিত তাগুদের হত্যার জন্য জিহাদে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে বেশকিছু দেশিয় অস্ত্র তৈরি করে এবং অন্য সদস্যদের মধ্যে বিতরণ করে।
জেএ/এমএআর/জেআইএম